করোনার নতুন রূপ! চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের
করোনার নতুন রূপ! চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ করোনা ভ্যাক্সিন বের হবার পরেও এখনও দুশ্চিন্তা কমছে না । করোনার নতুন রূপে আক্রমণে ফের চিন্তা বাড়ছে । ইতিমধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনার জিনগত পরিবর্তন দেখা গেছে । অদুর ভবিষ্যতে ফের কি লকডাউনের পথে হাঁটতে বাধ্য হবে দেশ ? এই নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেছে ।

সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন । গোটা রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক প্রচার তুঙ্গে । কিন্তু করোনার নতুন রূপে সংক্রমণ ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে । করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হলেও করোনা ভাইরাস তার জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ফের যেভাবে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে তাতে উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়ছেন বিজ্ঞানীরা । ইতিমধ্যে ভারতের কিছু কিছু জায়গায় আক্রান্ত মানুষের নমুনা পরীক্ষা করে করোনার এই নতুন পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে ।

গোটা পৃথিবী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে একপ্রকার থমকে দাঁড়িয়েছিল । ভেঙ্গে পড়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা । লক্ষ লক্ষ প্রান হানির পাশাপাশি কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ । করোনা ভ্যাক্সিন কিছুটা আশার আলো দেখালেও ফের নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে । ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশে ভাইরাসটির জিনগত পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ভারতের নাম।

গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানা গেছে, দেশের মধ্যে কেরল এবং মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশের আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসের E484K ও N440K-র পরিবর্তন ঘটেছে । এই মুহূর্তে পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কেরল এবং মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেশি । ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন হবার কারনে এই দুই রাজ্যে আক্রান্ত বেশি হচ্ছে কি না ?

এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনই যে এই দুই রাজ্যে বেশি সংক্রমণের জন্য দায়ী তার কোন নির্দিষ্ট প্রমান হাতে আসেনি । তবে কেরল ও মহারাষ্ট্রে নতুন রূপান্তিত রূপ নিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিন আফ্রিকান এবং ব্রাজিলিয়ান – এই দুই রূপ ভারতের কেরল এবং মহারাষ্ট্রে পাওয়া গেছে । এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকান কোভিড ১৯ নতুন রূপ ৬ জনের মধ্যে এবং ব্রাজিলিয়ান রূপ ১ জনের শরীরে পাওয়া গেছে । এছাড়া এখনও পর্যন্ত ব্রিটিশ স্ট্রেইনে আক্রান্তের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ১৮৭-এ ।