অভিমুখ বদল 'ইয়স'এর ! সরাসরি বাংলার দিকে ধেয়ে আসাছে ঘূর্ণিঝড়
অভিমুখ বদল 'ইয়স'এর ! সরাসরি বাংলার দিকে ধেয়ে আসাছে ঘূর্ণিঝড়

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ মৌসম ভবন থেকে সরাসরি কিছু জানানো হয়নি । কিন্তু স্যাটেলাইটে যেভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়স’ ধীরে ধীরে অভিমুখ পরিবর্তন করছে, তাতে বাংলার উপর আছড়ে পড়ার সম্ভবনা বেশী ! ফলে আপাতত বাংলা-ওড়িশা উপকুল নয় । ‘ইয়স’-এর ল্যান্ডফল হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-শঙ্করপুর উপকূলে ।

আম্ফানের পর এবার রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়স’ । আবহাওয়া দপ্তর থেকে এখনও অভিমুখ বদলের কথা বলা হয়নি । কিন্তু আতঙ্ক বাড়ছে স্যাটেলাইট চিত্র দেখে । লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, গত ১২ ঘণ্টায় ‘ইয়স’ কিছুটা নিজের অভিমুখ বদল করেছে । ফলে ওড়িশার চাইতে বাংলা দিয়েই এই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবার সম্ভবনা বেশী তৈরি হচ্ছে । ফলে আগামী বুধবার দুপুরের পর পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-শঙ্করপুর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ । এমনটাই ধারনা করতে শুরু করছেন আবহবিদরা। সুত্রঃ ECMWF

আপডেট পেতে এখানে ক্লিক করুন

এই মুহূর্তে আজ থেকেই বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে শুরু করেছে । বর্তমানে রাজ্যের দিঘা সমুদ্র উপকুল থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে ৬৬০ কিমি দূরে অবস্থান‌ করছে ‘ইয়াস’। আগামী একদিনের মধ্যে আরও বেশী শক্তি সঞ্চয় করার ফলে  সোমবারের মধ্যেই সাইক্লোনে রূপ নেবে ‘ইয়স’ । এরপর বাংলার উপকুলের দিকে ধেয়ে আসবে সে । মঙ্গলবার নাগাদ রাজ্যে বৃষ্টিসহ দুর্যোগ শুরু হয়ে যাবে ।

বুধবার আবার ভরা কোটাল (পূর্ণিমা) থাকায় আবহাওয়া দপ্তর থেকে সাবধান করা হয়েছে । জানানো হয়েছে, ল্যান্ডফলের সময় ‘ইয়স’ এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিমি পর্যন্ত থাকবে । সমুদ্রের জল ফুসে উঠে প্রায় ৬ মিটার অবধি জলোচ্ছাস হতে পারে । মঙ্গলবার থেকেই দুর্যোগ শুরু হয়ে যাবে । বুধবার রাজ্যের উপকুলবর্তী জেলাগুলিতে দুরন্ত শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়বে সাইক্লোন ইয়স !

এদিকে রাজ্যে প্রশাসনিক স্তরে মাইকিং থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রস্তুতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে । দীঘা,শঙ্করপুর উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা  থাকায় মত্‍সজীবীদের সরিয়ে আনা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার সহ উপকুলবর্তী এলাকাগুলিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল পৌঁছেছে।  জেলাগুলিতে ভাঙ্গা বাধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে । নিরাপদ জায়গায় মানুষ সরিয়ে নেবার কাজও শুরু হয়েছে । এছাড়া করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে, হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন গতবছর সুপার সাইক্লোন আম্ফানের থেকেও বেশী দাপট দেখাতে পারে ইয়স ।