দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একটু পরেই নারদা কাণ্ডে গ্রেপ্তার চার হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার কেস কোর্টে উঠবে । কিন্ত এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নাটকীয়ভাবে এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পক্ষ করল সিবিআই। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, কিস্তিমাতের জন্যই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে ।
আজ হাইকোর্টে নারদ কাণ্ডের শুনানি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হোক, এই দাবি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। এবার সেই মামলার অন্যতম পক্ষ করা হল মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। ইতিমধ্যে এই মর্মে এদের তিনজনের কাছেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে । এই সিদ্ধান্তের পিছনে সিবিআই-এর যুক্তি, নারদ মামলার শুনানির পরিবেশ এ রাজ্যে নেই। এমনকি তদন্তকারী অফিসারদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ তৈরি করা হচ্ছে । এমনকি নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত হলেও চারজনের শুনানির দিন সমস্ত কাজ ফেলে সারাদিন উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে সিবিআই আরও যুক্তি দেখিয়েছে, সোমবার চার হেভিওয়েট নেতাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসার পর শুনানি চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী-সহ একাধিক মন্ত্রী। এই উপস্থিতি বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলে হাই কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছে তাদের আইনজীবী । বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্বদের এই মামলায় যুক্ত করে সিবিআই তাদের এই দাবী আরও জোরালো করতে চাইছে ।
এদিকে সোমবার গ্রেপ্তার করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে । এদের মধ্যে তিনজন- সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন । পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জ্বর এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁর কোভিড টেস্টের ফল নেগেতিভ এসেছে ।