'বহিরাগতদের এনে রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে বিজেপি'- অভিনব দাবী মমতার
'বহিরাগতদের এনে রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে বিজেপি'- অভিনব দাবী মমতার

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শাস্তির মেয়াদ গতকাল রাত আঁটটায় শেষ হতেই বারাসাত এবং বিধাননগরে দুটি জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শাস্তি হলেও ফের অভিনব দাবী করে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো । রাজ্যে ভয়াবহ করোনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করে বসলেন তিনি । স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভোটের মুখে বহিরাগতদের রাজ্যে এনে করোনা ছড়াচ্ছে তারা !

জোর কদমে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার । রাজনৈতিক দলগুলি কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ । একদিকে যে NRC নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল, সেই NRC ইস্যু নিয়ে অমিত শাহের গলায় অন্য সুর শোনা গেল । গতকাল দার্জিলিং-এর লেবং-এ জনসভা ছিল তাঁর । সেখানে তিনি জানান, NRC নিয়ে এখন কোন পরিকল্পনা নেই । আর যদিও বা NRC চালু হয়, তাহলেও গোর্খা ভাইদের চিন্তা করতে হবে না। যারা অনুপ্রেবশকারী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোর্খাদের বিরুদ্ধে নয়।

NRC নিয়ে অমিত শাহের কথার খেই ধরে আজ জলপাইগুড়ির জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘আমি থাকতে রাজ্যে এনআরসি ও সিএএ লাগু করতে দেব না। বিজেপি পাহাড়ে এক কথা বলছে। মতুয়াদের এক বলছে, অসমে অন্য কথা বলছে। আমি যেটা বলি করে দেখাই।’ গতকালই তিনি নিজেকে ‘স্ট্রীট ফাইটার’ বলে ভূষিত করেছিলেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ । আর সেখানেও বিজেজিকে দুষলেন তিনি ।

জলপাইগুড়ির জনসভায় করোনা বৃদ্ধির কারন হিসাবে সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করলেন ‘বাংলার মেয়ে’ মমতা । এদিন তিনি জানিয়েছেন,  ‘বিজেপি বহিরাগতদের নিয়ে আসছে আর রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছে। গত একবছর লকডাউনের সময় দেখা যায়নি। এখন ভোট এসেছে তাই রাজ্যে ঘনঘন আসছে। বাংলায় ভোট চাইতে আসছে বিজেপি নেতারা।’ মমতার আচমকা এই মন্তব্যে চমকে উঠেছেন অনেকেই ।

এদিনের জনসভায় শীতলকুচির প্রসঙ্গও উঠে আসে মমতার বক্তব্যে । তিনি জানান, ‘বিজেপি গুলি করে আর হামলা চালিয়ে বাংলা দখলের চেষ্টা করছে। ছদ্মবেশী বকধর্মিক বিজেপি। ওদের ক্ষমতায় আনলে কেউটে-গোখরো দুটোর কামড় খেতে হবে। মোদি আর শাহ শুধুই মিথ্যে কথা বলে।’

আজ সকালেই শীতলকুচি কেন্দ্রে নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করতে যান মমতা । সেখানে গিয়েও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি । শীতলকুচির মাথাভাঙা হাসপাতালের মাঠের শহিদ মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আজ আমার প্রচারের শেষ দিন। তা সত্বেও এসেছি। কারণ ৭২ ঘণ্টা আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। আমরা ছেড়ে কথা বলব না। দোষী ব্যক্তি যত বড়ই হোক না কেন তার শাস্তি হবে। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। শান্তি রক্ষা করুন। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিন। কেউ হিন্দু কিংবা মুসলিম নয়, সবাই রাজবংশী।’