দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন । আর এই নির্বাচন ঘিরেই সব দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটের রাজনীতি । তবে লড়াইটা মুলত শাসক দল তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে । এবার আসন্ন ভোটে তৃণমূল দল থেকে নয়া স্লোগানের উদ্ভোধন করা হল – ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ ।
বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সব কয়টি রাজনৈতিক দল নিজেদের মত করেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে । শনিবার শাসক দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তৃণমূল ভবন থেকে নতুন দলীয় স্লোগানের উদ্ভোধন করলেন । ‘দিদিকে বল’, বাংলার গর্ব মমতা’ সর্বশেষ ‘দুয়ারে সরকার’-এর পর এবং ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান চালু করল । আগামী দিনে এই নয়া স্লোগান জনমানসে নতুন করে প্রভাব ফেলতে চলেছে – এমনটাই ধারনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ।
একদিকে নিজেদের আসন বাঁচাতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল, অন্যদিকে লোকসভা ভোটে ভাল ফল লাভ করার পর এবং একের পর এক নেতা-বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন নিয়ে টগবগ করে ফুটছে গেরুয়া শিবির । প্রায় সবখানেই ‘জয় শ্রীরাম’ হুঙ্কারে কাপাচ্ছে গেরুয়া কর্মীরা । এদিকে বাম-কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে বাংলা থেকে বিজেপি হটাতে বদ্ধপরিকর । সব মিলিয়ে হইহই রইরই ব্যাপার । এর মধ্যেই রীতিমতো কর্পোরেট ধাঁচে অনুষ্ঠান করে শনিবার তৃণমূলের নতুন স্লোগান চালু করা হল ।
এদিন তৃণমূল ভবনে নতুন স্লোগানের উদ্ভোধনে উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, ডেরেক ওব্রায়েন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীদের । সেখানে তৃণমূলের নতুন স্লোগান ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ ঘোষণা হতেই শহর জুড়ে ব্যাপার পড়তে দেখা গেছে । নতুন স্লোগানে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে ।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও চুপ করে বসে নেই । ভোটের দামামা বাজতেই একের পর এক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা রাজ্যে ঘন ঘন যাতায়াত শুরু করেছেন । ফলে তৃণমূল থেকে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানের মাধ্যমে বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ তকমা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারবে বলে ধারনা করা হচ্ছে । এদিন নতুন স্লোগানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী পদে যখন বিরোধিরা মুখ খুঁজে চলেছে আমাদের তখন একটাই মুখ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষ তাঁকে আবারও গ্রাহণ করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী এবং শাসক দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই বাংলার মাটির সঙ্গে তাঁর টান আছে। বিগত এক দশকে বাংলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছেন সকলে। খাদ্য সাথী প্রকল্পে সাহায্য পেয়েছে মানুষ। বাংলার সামগ্রিক পট পরিবর্তনে বাংলার গরিমা রক্ষা করেছেন তিনি অভিভাবক হিসাবে। তাই বাংলার মেয়েকে আবারও চাই। আশা করব রাজ্যের মানুষ সব পরিবার উপকৃত হয়েছেন। তাই বাংলা নিজের মেয়েকে চায়।”