দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ এ যেন হবারই ছিল ! মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বারের মত শপথ নেবার পরেই বড় রদবদল ঘটে গেল রাজ্য পুলিশে । সরানো হল বেশ কিছু জেলাশাসককেও । সবার আগে বদলি করা হয়েছে কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে। সেখানে আগের পুলিশ সুপারকেই ফের বহাল করা হল ।
নির্বাচনী প্রচারের মধ্যেই মমতা হুশিয়ারি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে ‘দেখে নেবেন’ । এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোকিত হয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচির নাম । বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন দিনহাটায় বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু হয় । এর পরেই কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নানকে বদলি করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন । সেখানে আসেন দেবাশিস ধর । এরপর ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোট গ্রহণের সময় শীতলখুচি কেন্দ্রের জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সমিউল মিয়াঁ, মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁ নামে ৪ গ্রামবাসীর ।
পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, প্রায় তিন শতাধিক গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে । জওয়ানদের অস্ত কেড়ে নেবার চেষ্টা করে তারা । শুন্যে গুলি চালিয়েও থামানো না যাওয়ায় গুলি করতে বাধ্য হয় সেনা । দেবাশিস ধরের এই যুক্তি মানতে চাননি মমতা । তিনি সরাসরি অভিযোগের তীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের দিকে ছোঁড়েন । এমনকি সেই সময়ই হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় এলে দেখে নেওয়া হবে । তাই প্রত্যাশামতই এবার দেবাশিস ধরকে সরিয়ে দিয়ে ফের পূর্বের পুলিশ সুপার কে কান্নানকেই কোচবিহারে বহাল ঘোষণা করলেন তিনি ।
কোচবিহার ছাড়াও, পূর্ব মেদিনীপুর, ডায়মন্ড হারবার, হাওড়া, জঙ্গিপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলার পুলিশ সুপার এবং পুলিশ আধিকারিক বদল করা হয়েছে। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বেশ কিছু জায়গায় জেলা শাসকের রদবদল ঘটেছিল । এবার পূর্ব মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার জেলাশাসকও বদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী । পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক হিসাবে বহাল ছিলেন স্মিতা পাণ্ডে । তাকে সরিয়ে পূর্ণেন্দু মাঝিকে বহাল রাখলেন মমতা । অন্যদিকে পুরুলিয়ায় জেলা শাসক অভিজিত্ মুখোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠিয়ে সেখানে রাহুল মজুমদারকে নিয়োগ করা হয়েছে।