দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন ছিল নন্দীগ্রাম । সেখানে মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে কে জিতবেন তাই নিয়ে চলছে জোর কাঁটাছেঁড়া । এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোটপর্ব মিটতেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাড়ি দিলেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে । যাবার আগে কর্মীদের জানিয়ে গেলেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা !
কয়েকদিনের টানটান উত্তেজনা কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারে যাবার আগে দলীয় কর্মীদের জানালেন, সব সময় সজাগ থাকতে হবে । তাঁর মতে, ভোট নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে হলেও আসলে পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । কর্মীদের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, নন্দীগ্রামে তিনিই জিতবেন । তবে একমাস পর ভোটের ফল । ইভিএম নিয়েও ষড়যন্ত্র হবে । সজাগ না থাকলে বিজেপির ষড়যন্ত্র রুখা যাবে না ।
নন্দীগ্রামে বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী পুরো এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন । নির্বাচন কমিশন সেখানে ৩৫৫ টি বুথকেই স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন । প্রতিটি বুথে ছিল পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী । তা সত্ত্বেও কোনভাবেই হিংসাত্মক ঘটনা এড়ানো যায়নি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একটি বুথে প্রায় ২ ঘণ্টা আঁটকে পড়েছিলেন । এদিনে দলীয় কর্মীদের তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে কমপক্ষে ২০০র বেশি আসন নিয়ে তিনিই ক্ষমতায় আসছেন !
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেয়াপাড়ায় একটি অস্থায়ী বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। গত কয়েক দিন সেখানেই তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কনট্রোল রুম । শুক্রবার উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কাজে গেলেন তিনি । এদিকে মমতা বলছেন নন্দীগ্রামে তিনি জিতছেন । অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহ জানিয়েছেন প্রথম দুই দফার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫০ টি আসন বিজেপির পক্ষে যাবে । নন্দীগ্রামে মমতা হারচ্ছেন । এবিষয়ে উত্তর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমিই নন্দীগ্রামে জিতব। কিন্তু শুধু আমি জিতলেই হবে না, ২০০-র বেশি আসনে জিততে হবে আমাকে।’ সেই সঙ্গেই মমতা বললেন, ‘বিনম্র শ্রদ্ধা নিয়েই বলছি এই ভোট নির্বাচন কমিশন নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরিচালনা করছেন।’