দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ নেতারা কি ঠকবাজ হয় ? বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রতের কথা থেকে উঠে আসছে এই প্রশ্ন ! শনিবার এক দলীয় কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা সভাপতি জানালেন, ‘আমি নেতা নই, ঠকবাজি করিনা !’ অনুব্রত মণ্ডলের এই মন্তব্যের পরেই বিরোধী পক্ষ থকে পাল্টা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল শনিবার দলীয় কর্মসূচীতে নিজের বক্তব্য রাখেন । সেখানে কোন রাখঢাক না করেই তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানান, ‘আমাদের নেত্রী একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি একজন কর্মী। আমি কোনও নেতা নই, নেতা সাজতে চাই না ।’ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে টার বার্তা ছিল, ‘আমাদের নেত্রী একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি একজন কর্মী। আমি কোনও নেতা নই। আমায় কর্মী ভাববেন। আপনাদের মতোই আমি এক কর্মী। আমি নেতা সাজতে চাই না। আমি বিধায়ক-সাংসদ-কাউন্সিলর নই। আমি কিছু নই। আমরা সকলে দলের সৈনিক। আমি ঠগবাজি করি না। মানুষের পাশে থেকে কাজ করব। মানুষের বিপদে থাকব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে বাংলার উন্নয়ন হবে’।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে তৃতীয় বারের মত বাংলার ক্ষ্মায় ফিয়ে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস । নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই যারা তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিল, তারা ফের দলে ফিরতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি জানান, ‘ভুল মানুষ মাত্রই করে। যাঁরা গিয়েছিলেন ভুল করে গিয়েছিলেন । বিজেপি দলটা মিথ্যা কথা বলতে ওস্তাদ। ওরা শুধু ধোকা দেয়। আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তাই কোনও সমস্যা নেই’।
এদিন বিরোধী দল বিজেপি নিয়ে আরও কটাক্ষের সুর শোনা গেছে অনুব্রতের কথায় । এদিন বিজেপির সাথে বামদলের তুলনা টেনে নিয়ে আসেন তিনি । তিনি জানান, ‘আমরা ৩৪ বছর বামফ্রন্ট দেখেছি। তবে ওরা এত মিথ্যা কথা বলত না। মানুষকে ধোকা দিত না। আর এই দলটা সমানে ধোকা দিচ্ছে’।