দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একদিকে করোনা অন্যদিকে এখনও দুই দফা নির্বাচন ! করোনাকে উপেক্ষা করে এখনও রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি চলছেই । এবার তৃণমূল মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা হল বিরোধী পক্ষ বিজেপির বিরুদ্ধে । করোনার হটস্পট খাস কলকাতার মানিকতলা চত্বর উত্তপ্ত হয়ে উঠল ।
সুত্রের খবর, শনিবার দুইজন স্থানীয় মহিলা মানিকতলার মুরারিপুকুর বাজারে ফল কিনতে যান । সেখানে ফলের দোকানদার এবং তাঁর আত্মীয় তাদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ । ঘটনাচক্রে এই দুই মহিলা তৃণমূলের কর্মী । অন্যদিকে ফলের দোকানদার এবং তাঁর আত্মীয় বিজেপি দলের সাথে যুক্ত । এই ঘটনার পরেই রাজনীতির রঙ চড়তে চড়তে ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়ায়।
মহিলাদের শ্লীলতাহানি নিয়ে থানায় যাবার পর চরম অশান্তি শুরু হয় দুই দলের মধ্যে । জানা গেছে, থানায় পুলিশের সামনেই উক্ত ফলের দোকানদার এবং তাঁর আত্মীয়কে বেধড়ক মারধর করে । এক পর্যায়ে নিজেদের বাঁচাতে থানার মধ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তারা । পরে খবর পেয়ে বিজেপির দলীয় কর্মী সমর্থকরা থানায় এসে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে । তাদের দাবী, তৃণমূল থেকে তাদের সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে । এই ঘটনায় শনিবার রাতে দুই দলের কিছু কর্মীকে পুলিশ আটক করে ।
শনিবার মানিকতলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এবং বিজেপির জনসভা নিয়েও সমস্যা তৈরি হয় । একসাথে একেবারে ঢিলছোড়া দূরত্বে দুইদলের জনসভা নিয়ে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে পুলিশের সাথে বসচায় জড়িয়ে পড়েন । বিজেপি নেতা দাবী করেন, ‘কোভিড বিধি মেনে ২০০টি চেয়ার রেখে আমাদের সভা হচ্ছিল। পৌঁছে দেখি সেখানে আমাদের ঝান্ডা সরিয়ে তৃণমূল তাদের ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে। আমাদের সভাস্থলে ওদের মাইকও লাগিয়ে দেয়। পুলিশকে বলি তৃণমূলের মাইকটা বন্ধ রাখার জন্য।’ এই ঘটনায় দুই দলের মধ্যে এমনিতেই উত্তেজনা তৈরি হয়েই ছিল । এরপর তৃণমূল মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তাতে আরও ঘি যোগ করে ।