দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas) বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর ঘুরে দেখলেন তৃনমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে স্থানীয় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।অভিষেককে বারবার ‘নাবালক’এর তকমা দেওয়ায় শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে জানালেন, সাবালক তো সাবালকত্বের পরিচয় দিন !
বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ইয়স (Yaas) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর এলাকা পূর্বমেদিনীপুর যান। সেখানে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের কবলে বাঁধের বেহাল দশা নিয়ে সরাসরি তোপ দাগেন । সরাসরি নাম উল্লেখ না করেই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে জানান, “মানুষের টাকা সরিয়ে কারা এই বাঁধ নির্মাণ করেছেন সবাই জানেন। কাউকে রেয়াত করা হবে না।” এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দুর ‘নাবালক’ কটাক্ষের জবাব দিলেন অভিষের। বললেন, “সাবালকের ব্যর্থতা দেখতে নাবালককে আসতে হয়। সাবালক শুধু বড়-বড় ভাষণ দিচ্ছেন। উনি যখন সাবালক তো সাবালকত্বের পরিচয় দিন। সাবালককে অন ক্যামেরা টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। নাবালককে কিন্তু দেখা যায়নি।”
দুই ২৪ পরগনার পর তৃণমূল যুব সভাপতি বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি, তাজপুর লাগোয়া এলাকা, রামনগর, কাঁথির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন । সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর এলাকা তাজপুর সংলগ্ন চাঁদপুর এলাকায় হেঁটে হেঁটে বেহাল বাঁধগুলি ঘুরে দেখেন অভিষেক। সেখানে স্থানীয়দের আশ্বাস দিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, “দ্রুত এই বাঁধ ঠিক করা হোক। আগামী ১২ তারিখ ফের ভরা কোটাল আছে। বাঁধ ঠিক না হলে গ্রামে আবার জল ঢুকবে।” এরপর সেখানকার আশ্রয় শিবিরগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন । সেখানে তিনি জানান, “যাঁর যা ক্ষতি হয়েছে, তার খতিয়ান দিন। ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
এদিকে কেন মাত্র চারমাসের মধ্যে বাঁধ ভেঙ্গে পড়ল এই প্রশ্ন নিজেই তোলেন । তাঁর কথায়, “এই রাস্তা, গার্ড ওয়াল তৈরির তদারকি করেছে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কে এর চেয়ারম্যান ছিলেন সকলেই জানেন। বাঁধ তৈরি করেছেন সেচমন্ত্রী। কে ছিলেন এই পদে তাও জানেন। মানুষের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ বড় হয়েছে অনেকের কাছে। মানুষের অর্থ গ্রাস করে নিজেদের জীবন সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের একজনকেও রেয়াত করা হবে না। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।” অর্থাৎ এখানেও সেই অধিকারী পরিবারের দিকে পরোক্ষভাবে অভিযোগের তীর ছুঁড়লেন তিনি !