গরীবদের বিনামুল্যে খাবার, মাসে ৬ হাজার টাকার ব্যবস্থা করতে মোদীকে চিঠি অধীরের
গরীবদের বিনামুল্যে খাবার, মাসে ৬ হাজার টাকার ব্যবস্থা করতে মোদীকে চিঠি অধীরের

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অব্যাহত । রাজ্যে রবিবার থেকে করা লকডাউন শুরু হল। আপাতত চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত । শেষ পর্যন্ত সময়সীমা আরও বাড়বে কিনা সেই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না। এদিকে সবচেয়ে দুর্দশা সাধারণ গরীব মানুষের । এবার সেই অসহায় মানুষের প্রতিনিধি হয়ে মোদীকে চিঠি পাঠালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।

রাজ্যে রবিবার থেকে কড়া লকডাউন ঘোষণা কড়া হয়েছে । এই অবস্থায় রাজ্যের প্রকৃত গরিবদের বিনামূল্যে খাবার ও মাসে ৬ হাজার টাকার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী । এই চিঠিতে লকডাউনের ফলে কাজ হারানো মানুষগুলির পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে, তাঁদেরকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন তিনি । এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন চলছে। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে যাঁরা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন তাঁদের ওপরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। এইসব মানুষজন পরিবার নিয়ে করুণ পরিস্থিতির সম্নুখীন। এই সময় লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার পাশাপাশি মাসে ছয় হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হোক।

এদিকে জাতীয় কংগ্রেস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে টিকা বাবদ বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকার হিসাব দাবী করা হয়েছে। এছাড়া দেশ জুড়ে করোনা মহামারীর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকার সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে । তবে বহরমপুরের কংগ্রেস নেতা  এবং সেখানকার পাঁচ বারের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজের সাংসদ কোটার সম্পূর্ণ টাকা করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন,  ‘দেশের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেই আমি মনে করি।’

এই মুহূর্তে রাজ্য ছাড়াও গোটা দেশে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠি যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য । কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিলেন, মে এবং জুন মাসে রাজ্যের গরীব মানুষের জন্য বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করবেন । কিন্তু এখনও সেই ঘোষণা ঘোষণাই থেকে গেছে । কাজ শুরু করা যায়নি । অন্যদিকে কাজ হারানো মানুষগুলিও ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতিগুলি ভুখা পেটে চোখে জল নিয়ে মনে করার চেষ্টা করছে ।