দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ হাইপ্রোফাইল নন্দীগ্রামে সবে ভোট পর্ব মিটেছে । এরই মধ্যে জেলায় প্রচারের জন্য হাইটেক গাড়ি নিয়ে এসে তৃণমূলকে টেক্কা দিচ্ছে । এমনিতেই বিজেপির আইটি সেল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তুলনায় অনেক শক্তিশালী । এবার যুক্ত হল উত্তর প্রদেশ থেকে আমদানি করা এই হাইটেক গাড়ি । এর মাধ্যমে জায়ান্ট স্ক্রিনে মানুষের মনোরঞ্জন করার সাথে সাথে প্রচার কাজ করা যাবে অনায়াসেই ।
গতকাল রাজ্যের সবচেয়ে বেশি উত্তেজনাপূর্ণ ভোট পর্ব সমাধা হল । নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথে দুজনেই জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী । তবে শেষ হাসি কার মুখে থাকবে সেটা জানা যাবে আগামী মাসের ২ তারিখ । সবে মাত্র ৬০ টি বিধানসভা আসনের ভোট সম্পন্ন হয়েছে । এবার বাকি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য গেরুয়া বাহিনী উত্তর প্রদেশ থেকে নিয়ে এসেছে হাইটেক গাড়ি । আপাতত রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিনব প্রযুক্তির গাড়ি ।
উত্তরপ্রদেশ থেকে আনা হাইটেক গাড়ি ইতিমধ্যে নজর কাড়তে শুরু করেছে আমজনতার । রামপুরহাটের লোটাস প্রেস মোড়, বামনী গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় এই হাইটেক গাড়ির কামাল দেখল জনতা । একদিকে ছোলার ছাতুর সরবতে গলা ভেজানো, অন্যদিকে গাড়ির সাথে যুক্ত জায়ান্ট স্ক্রিনে সিনেমার মত চলছে গেরুয়া বাহিনীর সাফল্যের কাহিনী । পাশাপাশি গ্রাম বাংলার গান, বাউল গান চলছে ।
খুব কম সময়ে কোন স্লোগান, কোন ফেস্টুন ছাড়াই আনায়াসে চলছে প্রাচার এই হাইটেক গাড়ির সাহায্যে । স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবী, এভাবে প্রচার মানুষের মধ্যে ভাল সাড়া ফেলছে । কি আছে এই গাড়িতে ? এই গাড়ির বডিতেই থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন তথা ডিজিটাল পর্দা । যেভাবে সিনেমা দেখানো হয় সেই ভাবেই সব কিছু প্রদর্শিত হবে । গাড়ির সাথেই যুক্ত থাকছে জেনারেটর ব্যবস্থা । রামপুরহাটে গতকাল থেকেই এইভাবে প্রচার শুরু করেছে বিজেপি । জানা গেছে, সকাল সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলবে এই প্রচার।
রামপুর হাটের পূর্বে এই হাইটেক গাড়ি ঘাটাল ও কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল । সেখানেও মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত । রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভাশীষ চৌধুরী । এই গাড়ি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “গত বুধবার উত্তরপ্রদেশ থেকে এই হাইটেক প্রচারের গাড়ি এসেছে। দলীয় খরচে প্রচার করবে এই হাইটেক গাড়ি। আগে যেমন সরকারি কিছু দফতর ছোট ছোট সিনেমার মধ্যে দিয়ে জন সচেতনতা মূলক প্রচার চালাতো। এটাও ঠিক তেমনি ভাবে দলের সংকল্পপত্র বা এজেন্ডার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভুল ত্রুটি মানুষের সামনে তুলে ধরবে।”