দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ নন্দীগ্রামে আজকেই শেষ প্রচারের দিন । দুই দিন বাদেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে মমতা-শুভেন্দুর ! এরই মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে দাঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন । যদিও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামের প্রত্যেক বুথকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে ।
জখম পা নিয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন । অক্লান্তভাবে একের পর এক জনসভা থেকে শুরু করে রোড শো করছেন । নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আজ বিকাল ৫ টা থেকে নন্দীগ্রামে যে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচার নিষিদ্ধ । আজ শেষ দিন নন্দীগ্রামে প্রচারে দাঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মমতা ।
এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়া শহীদ বেদী থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত রোড-শো করলেন মমতা । সেখানেই তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন সেখানে যে কোন সময়ে দাঙ্গা লাগতে পারে । সাবধান থাকতে হবে সবাইকে । তিনি বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে নিজেদের একটা মেয়েকে খুন করবে। তার পর তৃণমূলের উপর দোষ চাপাবে। দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে।’
নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরে না দাঁড়িয়ে নন্দী গ্রামে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যপাধ্যায় । আত্মবিশ্বাসের সাথে জানিয়েছেন, রাজ্যের যে কোন জায়গায়, যে কোন আসন থেকে জেতার ক্ষমতা রাখেন তিনি । এদিকে তার বিপক্ষে একদা ছায়া সঙ্গী, বিশবস্ত সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী । কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে কথা বলছেন না । আজ শেষ প্রচারেও বিজেপির দিকে সন্দেহের তীর ছুঁড়লেন মমতা ।
অধিকাংশ মানুষের ধারনা মমতা নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে হাঁসতে হাঁসতে জয় লাভ করবেন । কিন্তু কারও মনে দ্বিধাও কাজ করছে । কারন, নন্দীগ্রামকে শুভেন্দু অধিকারী একেবারে হাতের তালুর মতই চেনেন ! তৃণমূলে থাকার সময়ই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তিনি । ফলে কোথায় মমতার দুর্বলতা সেটি তিনি বিলক্ষণ জানেন । অন্যদিকে একের পর এক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
নির্বাচনী প্রচারে মমতা জানিয়েছেন, ‘আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছি কারণ আমি নন্দীগ্রামের ভূমিকে প্রণাম জানাই। এবারে জয়ী হলে নন্দীগ্রামকে ‘মডেল নন্দীগ্রাম’ বানিয়ে দেব। হলদিয়া আর নন্দীগ্রামের মধ্যে সেতু গড়ে দেব। হলদিয়ায় নন্দীগ্রামের ছেলেমেয়েরা কাজ পাবে, চাকরি করবে। কর্মসংস্থানের জোয়ার বইবে। আমি যখন এক বার ঢুকেছি, আর বেরোচ্ছি না। বিজেপিকে নন্দীগ্রাম থেকে বাংলা পর্যন্ত একেবারে বোল্ড আউট করে দিন। যারা গুন্ডামি করছে তাদের রাজনৈতিক ভাবে কবর দিন। কেউ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। আমার কাছে খবর আছে নিজেদের একটা মেয়েকে খুন করবে। তার পর তৃণমূলের উপর দোষ চাপাবে। দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডাদের নিয়ে আসছে। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব কেন বিহার উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের এখানে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন পরিচালনা করছে, তাই রাজ্যের পুলিস একটু বিরোধিতা করবে। তবে ভোটের পর পুলিস তো আমাদের। তাই চিন্তা করবেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী অত্যাচার করলেই রুখে দাঁড়ান সবাই মিলে।’