দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে তৃণমূল-গেরুয়া শিবিরে শুরু হল চাপানউতোর! একদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ । অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে সাফাই, একজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাংলাদেশ সফরে যেতেই পারেন তিনি । এছাড়া সেদেশে মাজার এবং হিন্দু মন্দির- দুই জায়গাতে গেলেও মমতার অভিযোগ কেন হিন্দু মন্দিরের ক্ষেত্রে !
রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের দিন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে । একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ‘কেন মোদীকে পাশপোর্ট, ভিসা দেওয়া হল ?’ । তিনি দাবী করেছেন, বাংলার নির্বাচনকে মাথায় রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের এক বিশেষ শ্রেণীর ভোটারকে প্রভাবিত করার জন্য নরেন্দ্র মোদীর এই বাংলাদেশ সফর । অন্যদিকে মমতার দাবী খণ্ডন করতে বিজেপির পক্ষ থেকে সাফাই দেওয়া হল নির্বাচন কমিশনকে ।
তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে গেরুয়া শিবিরের দাবী, এই মুহূর্তে দেশে মোট ৫ টি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে । তাই মোদীর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি রাজ্যের নির্বাচন মাথায় রেখে বাংলাদেশ সফর বাতিল করার প্রশ্ন ওঠে না । এছাড়া তৃণমূলের আপত্তি প্রধানমন্ত্রীর মাজারে যাওয়া নিয়ে নয়, বরং ওলাকান্দিতে হিন্দু মন্দিরে কেন গিয়েছিলেন তাই নিয়ে ।
নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন সেটাতে কোন আপত্তি নেই। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা দিবস ছিল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি যেতেই পারেন । কিন্তু ২৭ মার্চ রাজ্যে যেদিন প্রথম দফা নির্বাচন, সেদিন কি করেছেন ? বাংলার নির্বাচনকে মাথায় রেখেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভোটারদের প্ররোচিত করতে তিনি এই কাজ করেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে পরোক্ষভাবে প্রচার চালিয়েছেন সেটি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে । তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও দাবী করা হয়েছে, অতীতে ভারতের কোন প্রধানমন্ত্রী এইভাবে অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক পদক্ষেপ করেননি এবং এইভাবে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।