দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আবার সেই ‘নন্দীগ্রাম’-এর নাম শিরোনামে উঠে আসছে । আগেই বলে রেখেছিলেন এবার নন্দীগ্রামে ভোটে লড়াই করবেন তিনি । এবার কথা রাখতে চলেছেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার বিকালে সাড়ে তিনটায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেবেন তিনি। হলদিয়ার মহকুমা শাসকের অফিসে ওই মনোনয়ন জমা দেবার কথা তাঁর ।
আজ তৃণমূল সুপ্রিমো এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালিঘাটের বাড়ির প্রতি নজর ছিল গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের । আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হল কালীঘাটের বাড়ি থেকে । নিজেকে কোন সন্দেহের মধ্যে না রেখে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় জানিয়ে দিলেন কথামত নন্দীগ্রাম আসনের জন্য তিনি লড়াই করবেন ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবার যদি নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচন লড়াই করেন তাহলে ভবানীপুরে নিজের আসন নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকছে । যদিও মুখে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে তিনি দাঁড়াচ্ছেন না । তবে একেবারে নিরাশও করেন নি তিনি । জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে ভবানীপুর আসনেও তিনি দাঁড়াতে পারেন ।
কে কোন আসনে লড়াই করবে এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের মধ্যে চলছিল চাপানউতোর । আজ তার সমাপ্তি ঘটল প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর । তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত আসন ছিল সেই নন্দীগ্রাম । একদিকে মমতা নিজের মুখে জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম তার দলের জন্য খুব পয়া । এই কারনেই তিনি নন্দীগ্রাম আসনে নির্বাচনী লড়াই লড়তে চান । মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই নন্দীগ্রামের ভুমিপুত্র চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি নিজে বা বিজেপির কোন প্রার্থী অন্তত পঞ্চাশ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারাবেন । অন্যদিকে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীও জানিয়েছেন, তার নিজের পরিবারের কেউ নাকি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াতে চান । ফলে এবারের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম প্রায় সব দলের প্রেস্টিজ ইস্যু হতে চলেছে ।
নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা দাঁড়াতে পারেন এমন জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল দলের অন্দরে । কেউ কেউ অনুমান করেছিলেন, ১১ই মার্চ শিবরাত্রির শুভদিনে তিনি মনোনয়ন জমা দিতে পারেন । আজ সেই সব জল্পনার অবসান ঘটল । বাংলার মেয়ে চ্যালেঞ্জের সাথে সেই নন্দীগ্রাম থেকেই লড়াই শুরু করার ডাক দিলেন । জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে নন্দীগ্রাম থেকে জেতাতে দলের পোড়খাওয়া নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, রাজ্যসভা সাংসদ দোলা সেন, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর স্বরূপ ঘোষ ওরফে স্বরূপ সহ আরও বেশ কয়েকজন নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন।