এবার শুধু জল দিয়েই চলবে গাড়ি ! যোধপুর আইআইটির অভিনব জ্বালানী আবিস্কার
এবার শুধু জল দিয়েই চলবে গাড়ি ! যোধপুর আইআইটির অভিনব জ্বালানী আবিস্কার

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দিন দিন যেভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে চলেছে তাতে সাধারন মানুষের কপালের ভাজ দীর্ঘ থেকে আরও দীর্ঘতর হচ্ছে । অন্যদিকে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বাড়ায় তৈরি হচ্ছে আরও জ্বালানির চাহিদা অন্যদিকে বায়ুমণ্ডল দূষণ হচ্ছে ব্যাপকহারে । এবার সেই সমস্যার সমাধান করল যোধপুর আইআইটির একদল ছাত্র-ছাত্রী । তারা দাবি জানিয়েছে শধুমাত্র জল এবং সূর্যের আলো থেকেই তৈরি করা যাবে পর্যাপ্ত জ্বালানী, আর সেই জ্বালানীতে থাকবে না বায়ু দূষণের আশঙ্কা ।

ভারতের মত উন্নয়নশীল এবং বিপুল জনসংখ্যার একটি দেশে জ্বালানী সমস্যা একটা বিশাল ব্যাপার । এখানে একদিকে যানবাহন যেভাবে দিন কে দিন বাড়ছে, তেমনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তার মুল্য । মুলত বহুমূল্য এই জ্বালানীর জন্য ভারতকে নির্ভর করতে হয় বেশ কয়েকটি তেল রপ্তানিকারক দেশের উপরে । এবার ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের এই যুগান্তকারী আবিস্কার হয়ত বদলে দিতে পারে আগামী দিনের অর্থনীতির সংজ্ঞা !

ঠিক কিভাবে শুধুমাত্র জল থেকেই তৈরি হবে এই বহুমূল্য জ্বালানী ? যোধপুর আইআইটির গবেষকরা জানিয়েছেন, সূর্যের আলোর সাহায্যে গাছ যেভাবে জল থেকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে, অনেকটা সেইভাবেই সূর্যের আলোর সাহায্যে জল থেকে তৈরি হবে প্রয়োজনীয় জ্বালানী । তবে এই ক্ষেত্রে পদ্ধতিটা হবে সালোকসংশ্লেষের ঠিক উল্টো ।

যোধপুর আইআইটির ছাত্রছাত্রীদের আবিস্কার করা এই অভিনব জ্বালানীর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ফুয়েল অফ দ্য ফিউচার’ বা ‘ভবিষ্যতের জ্বালানি।’ জল অক্সিজেন আর হাইড্রোজেনের একটি যৌগ । জানা গেছে, সূর্যের আলোর মাধ্যমে জলের যৌগকে ভেঙ্গে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আলাদা করা হবে। আর সেখান থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে সংগ্রহ করা হবে বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন, যা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হবে ।

‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যোধপুর আইআইটির গবেষকরা  ‘ল্যান্থানাইড’ নামে একটি রাসায়নিক ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটকের সন্ধান পেয়েছেন । এই অনুঘটকই জলের অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনকে আলাদা করে দেবে । আইয়াইটির অধ্যাপক রাকেশ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, প্রথমবার এত কম খরচে জ্বালানি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতি বাস্তবে কার্যকর করা সম্ভব হলে জ্বালানির জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমবে ৩০ শতাংশ। আপাতত এই প্রক্রিয়ার পেটেন্টের জন্য আবেদন জানিয়েছে যোধপুর আইআইটি।