দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ বাংলা রাজনীতিতে এখন তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই চলছে । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চাপে ফেলতে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল । এবার মুকুল রায়কে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে পাল্টা চাপে ফেলতে তৈরি হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী । মুকুল রায়কে PAC র চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে চলেছে বিজেপি ।
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তৃণমূল নেতা কর্মী থেকে শুরু করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই ফল মেনে নিতে পারেন নি । ঘটনা গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত । এদিকে একের পর এক পদ থেকে অনাস্থা এনে বিরোধী দলনেতাকে অপসারণ করে ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া অব্যাহত । অন্য দিকে শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে ঘিরে অধিকারী পরিবারে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা ।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে কোনঠাঁসা করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস । তবে এবার শাসকদলকে চাপে ফেলতে পদক্ষেপ নেবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির । প্রথমেই নিশানা করা হচ্ছে সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে নিয়ে ।
জানা গেছে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আলালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে গেরুয়া শিবির । তার বিরুদ্ধে মূলত দুটি ইস্যু তুলে ধরা হতে পারে । প্রথমত মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করার ঘটনা । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হতে পারে । অন্যদিকে তৃণমূলে যোগ দিলেও মুকুল রায় এখনও খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক। সুত্রের খবর, তার বিধায়ক পদ বাতিলের দাবী জানিয়েও আদালতের দ্বারস্থ হবে রাজ্য বিজেপি ।
উল্লেখ্য, ভোটের ফল প্রকাশিত হবার পরেই বিজেপির মুকুল রায় দল ছেড়ে দেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন । এই ঘটনায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কিন্তু তার অভিযোগ নিয়ে তেমন কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে । তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযোগ বিধানসভায় গ্রহণযোগ্য কিনা খতিয়ে দেখা হবে । গত ১৬ই জুলাই বিধানসভায় এই অভিযোগের শুনানি হয় । আগামী ৩০ জুলাই ফের শুনানির দিন।
এদিকে ১৬ জুলাই শুনানির পরে আদালতে যাবার কথা জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু । তবে একদা বিজেপি চাণক্য মুকুল রায় এইসব নিয়ে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ । তিনি সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যেখানে খুশি যান না।’