দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বদল করার পর নন্দীগ্রামে পুনগণনার শুনানি শুরু হয়েছে। কিন্তু এই শুনানি নিয়ে চাপে আছেন দুই পক্ষই । আজই কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে বিচারপতি শম্পা সরকার নন্দীগ্রামের ভোটে ব্যবহৃত সমস্ত ইভিএম ও পোস্টাল ব্যালট পেপার সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেবার পরেই শুভেন্দু অধিকারী সুপ্রিম কোর্টের সাহায্য চাইলেন । রাজ্যে এই মামলার শুনানি হলে, আদালতকে প্রভাবিত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম । রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুবেন্দুর মধ্যে লড়াই হয় । শেষ পর্যন্ত নাটকীয়ভাবে জয়ের হাসি হাঁসতে দেখা যায় শুভেন্দুকে । কিন্তু এই প্রেস্টিজের লড়াইতে পরাজয় কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি মমতা । পুনগণনার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি । কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে মামলাটি উঠেছে ।
West Bengal: Leader of Opposition Suvendu Adhikari moves Supreme Court praying that CM Mamata Banerjee's petition challenging his election from Nandigram be transferred to any other high court other than Calcutta High Court
(File photos) pic.twitter.com/OKu5PVxEKF
— ANI (@ANI) July 14, 2021
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘কলকাতা হাইকোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট বাদে দেশের যেকোনও হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হোক।’ অন্যদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে আসছেন, নন্দীগ্রাম ভোট গণনায় কারসাজি হয়েছে ! উল্লেখ্য, সেখানে গণনার সময়, প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করা হলেও পরে কমিশন জানায় সেটা ভুল ছিল । জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । এরপর থেকেই নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতা এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে ।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন । এরপর সেখানকার ভোটের পুনর্গণনার দাবী জানিয়ে আদালতে যান । প্রথমে সেই মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে যায়। কিন্তু মামলা শুরু করার আগেই শাসক দলের পক্ষ থেকে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, বিচারপতি বিজেপির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছেন । এরপর এই মামলার শুনানি শুরু করেই বিচারপতি কৌশিক চন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে সরে দাঁড়ান। এরপর মামলা সরে যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।
এদিকে একেবারে প্রথম থেকে শাসক দল নিজেদের পছন্দের বিচারপতির বেঞ্চে মামলা তুলতে সক্রিয় হচ্ছেন দেখেই বিরোধী শিবিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে । ফলে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী । প্রথম দিনেই তিনি এই মামলা রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাবার আবেদন করলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে । তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই মামলার শুনানির দিনক্ষন জানানো হয়নি ।