কথা না শুনলে বাস মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে - ফিরদাহ হাকিম
কথা না শুনলে বাস মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে - ফিরদাহ হাকিম

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ টানা লকডাউনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ অনেক কমে গেছে । এই অবস্থায় বাস চালুর কথা ঘোষণা করলেও বেসরকারি বাস মালিকরা রাস্তায় বাস নামাতে চাইছেন না । তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালু করতে হলে লাভের পরিবর্তে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে – এমনটাই যুক্তি দেখাচ্ছেন বাস মালিকরা । এই অবস্থায় শনিবার রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বাস না চালালে মালিকদের কঠোর হুশিয়ারি দিলেন ।

শনিবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সরকার নির্দেশ দিলেও বাসমালিকরা বাস রাস্তায় নামাতে চাইছেন না । তিনি বলেন,  ”সমস্যার কথা আমরা জানি। সরকার বিষয়টা দেখছে। বাস মালিকদের আমরা বার বার করে বলছি বাস চালাতে। না-হলে কঠোরতম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” জানা গেছে, এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ফিরদাহ সোমবার পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে বাসমালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ।

এদিকে রাজ্যে বাস জট কোন ভাবেই ছাড়াচ্ছে না । করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষের আয়ের পরিমাণ অনেক কমে গেছে । অন্যদিকে লোকাল ট্রেন না চালু হওয়ায় বাস এবং ট্যাক্সির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে মানুষকে । ট্যাক্সির ভাড়া বাড়লেও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । ফলে বাস মালিকদের পক্ষ থেকে নিজেদের অপারগতার কথা জানানো হয়েছে সরকারকে । এদিন অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”আনলক পর্বে সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা গত বছর পরিষেবা সচল করার কথা বলেছিলাম। এ বার পরিস্থিতি আরও কঠিন। বাস মালিকদের বাস নামাতে বলার জায়গায় আমরা নেই।”

জানা গেছে, কোন কোন জায়গায় বাস মালিকরা ভাড়া বৃদ্ধি না করে যাত্রীদের কাছ থেকে ‘অনুদান’ হিসাবে কিছু অর্থ নেবার কথা ভাবছেন ।  ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে বলেন, ”শনিবার এক বৈঠকে ঠিক হয়, চার কিলোমিটার পর্যন্ত ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া করতেই হবে। তার পরে, প্রতি কিলোমিটার এক টাকা হারে বাড়াতে হবে। তবে এই ভাড়া থেকে পরিচারিকা ও দিনমজুরদের ছাড় দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার ভাড়া না-বাড়ালে পোস্টার দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ন্যূনতম ভাড়া ১৫ টাকা অনুদান হিসেবে চাইব।”

এদিকে রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস না থাকায় নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা । করোনা বিধি শিকেয় তুলে বাদুর ঝোলা হয়ে বাসে চড়তে দেখা গেছে অনেক জায়গায় । বেসরকারি বাস ছাড়া শুধু মাত্র সরকারী বাসের উপর ভিত্তি করে রাজ্যে বাস পরিষেবা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয় । এদিকে বাস ভাড়া যদি বৃদ্ধি করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের দিক থেকে চাপ পড়বে সরকারের উপর । সামনেই ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন । এই অবস্থায় সোমবারের বৈঠকের উপর তাকিয়ে আছে বাস মালিক সংগঠন এবং সরকার, উভয় পক্ষই ।