দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে ভুয়ো ভ্যাক্সিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে নিজের মতামত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি তীব্র ক্ষোভের সাথে দেবাঞ্জনকে ‘জঙ্গি’ বলে আখ্যায়িত করলেন তিনি । গত বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো আইএএস অফিসারকে গ্রেপ্তার করার পর শাসকদলের বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীকে নিশানা করেছে বিরোধী পক্ষ গেরুয়া শিবির ।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এদিন গত কয়েকদিন ধরে সংবাদের শিরোনামে থাকা দেবাঞ্জন সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তারা জঙ্গিদের থেকেও ভয়ঙ্কর’ । এদিকে বিরোধী শিবির থেকে বারবার নিজের দলের নেতা মন্ত্রীদের সাথে এই প্রতারকের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা প্রসঙ্গে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ । তিনি জানান, ‘ওর নাম বারবার বলছেন কেন? ওকে জনপ্রিয় করার কি কোনও দরকার আছে?তার এত বড় সাহস, ঔদ্ধত্য, অহংকার, যে সমস্ত কিছু নকল করল। এতে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।’
দেবাঞ্জন দেবের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি । এই প্রসঙ্গে তিনি যুক্তি দেখান, ‘কিছু কিছু লোক আছে যারা দেখতে সুন্দর। সেজেগুজে টিপটপ থাকে। তারা প্রতারণা করে বেড়ায়। কখনও মুখ্যমন্ত্রী বা কখনও প্রধানমন্ত্রীর সই নকল করে, কখনও সরকারের সই নকল করে। ভুলে গিয়েছেন, সংসদে যখন হামলা হয়েছিল সরকারের লালবাতি লাগানো গাড়িতে তা হয়েছিল। যারা এমন কাজ করে, এদের আমি মানুষ বলে মনে করি না। অমানুষ বলেও মনে করি না। অভিযোগ কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিট গঠন করেছি। আমি নিজে কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। যে যে ব্যক্তি ওর সঙ্গে জড়িত কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
এদিকে, সরকারের সঙ্গে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জনের কোনও যোগ নেই বলে উল্লেখ করলেও বিজেপির পক্ষ থেকে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের সাথে দেবাঞ্জনের যোগ সুত্র প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া হচ্ছে । তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দেবাঞ্জনের সাথে সরকারের যোগসুত্র অস্বীকার করেছেন, সে বিষয়ে গেরুয়া শিবির থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত দাবী করেছে । সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ওরা সিবিআই তদন্ত চাইছে শুনলাম। তাহলে আমি তো বলব আগে বিজেপির দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। গুজরাতের আমেদাবাদে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল? কোনও আইনের বলে হচ্ছিল? হয়েছে তদন্ত?’