কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড ! কিন্তু কেন ?
কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড ! কিন্তু কেন ?

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ভারতে মার্কিন মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার আইনি রক্ষা কবচ হারিয়েছে । নতুন ভারতীয় ডিজিটাল আইন নিয়ে কেন্দ্রের সাথে টুইটারের সংঘাত চলছে । এরই মাঝে, নিজের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি জানান, ২৫ তারিখ শুক্রবার তার অ্যাকাউন্ট লকড করে দেয় এই মার্কিন সংস্থা। যদিও এক ঘণ্টার মধ্যে ফের তার অ্যাকাউন্ট চালু হয়ে যায়, কিন্তু এই ঘটনা ফের নতুন মাত্রা পেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।

শুক্রবার, প্রায় এক ঘণ্টার জন্য তার অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয় ! এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ । তিনি দাবী করেছেন, টেলিভিশন বিতর্কের ভিডিও পোস্ট করায় কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হয়েছে, এই ইস্যু নিয়ে তার অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয়েছিল । এক ঘণ্টা পড়ে ফের অ্যাকাউন্ট ওপেন করে দেওয়া হলে, রবিশঙ্কর তাঁর লক হয়ে যাওয়া প্রোফাইলের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন ।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্ক্রিন শট দিয়ে লেখেন, ‘বন্ধুরা! আজ আমার সঙ্গে একটি অত্যন্ত অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হয়েছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে টুইটার প্রায় এক ঘন্টা আমাকে আমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়নি। যদিও এর পরে তারা আমাকে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।’

এদিকে গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ করে ভারত টুইটারের আইনি কবচ কেড়ে নিয়েছে । উল্লেখ্য, অশান্তিতে ইন্ধনের অভিযোগে গাজিয়াবাদে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।  কংগ্রেসের ‘টুলকিট’ সংক্রান্ত অভিযোগ এনে টুইটারের ভারতীয় শাখার এমডি মণীশ মাহেশ্বরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের পদস্থ আধিকারিকরা  জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । বিজেপি নেতাদের টুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ ট্যাগ দেওয়ার মামলাতেই দিল্লি পুলিশের এই তৎপরতা।

এদিকে গত কয়েকমাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয় নিয়ে জোর আতঙ্ক ছড়িয়েছে । এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে টুইটারের বিরোধ এক নতুন মাত্রা পেয়েছে । মে মাস থেকে টুইটার তাদের আইনি রক্ষা কবচ হারিয়েছে । তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর সে সময় জানিয়েছিলেন, ‘ ভারতের আইনকে সম্মান করতে হবে টুইটারকে ।  দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস কেন্দ্রীয় সরকার করবে না ।” এবার তার অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়ায় ফের নতুন করে কি ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার, সেটিই দেখার ।