আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে চালু স্পুটনিক v টিকা ! কোথায়, কত দামে পাওয়া যাচ্ছে জেনে নিন
আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে চালু স্পুটনিক v টিকা ! কোথায়, কত দামে পাওয়া যাচ্ছে জেনে নিন

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ‘প্রায় লকডাউন’-এর সুফল পাচ্ছে এখন রাজ্য ! গত কয়েকদিনে করোনা গ্রাফ বেশ কিছুটা নীচে নেমে এসেছে । আক্রান্তের তুলনায় এখন সুস্থতার হার বেশী । এই অবস্থায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে রাশিয়ান করোনা প্রতিষেধক স্পুটনিক V রাজ্যে চালু হতে চলেছে । আগামী সোমবার থেকেই বাংলায় দেওয়া হবে এই ভ্যাক্সিন । রাশিয়ান ভ্যাক্সিন কলকাতার কোথায় কত দামে পাওয়া যাবে দেখে নিন ।

বর্তমানে রাজ্যে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন- এই দুই ধরনের করোনা টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে । দেশের মধ্যে হায়দরাবাদ ও বিশাখাপত্তনমে অন্যান্য টিকার সাথে রাশিয়ান স্পুটনিক V দেওয়া হলেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রয়োগ হয়নি । স্বাস্থ্য দপ্তরের খবর অনুযায়ী, আগামী সোমবার থেকে কলকাতার মানুষ এই রাশিয়ান ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন । জানা গেছে, আপাতত কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে স্পুটনিক টিকা নেওয়া যাবে । প্রাথমিকভাবে এই টিকার একটি ডোজের দাম ধরা হয়েছে ১২৫০ টাকা।

সরকারী সূত্রে খবর, স্পুটনিক V প্রতিষেধকের দায়িত্ব অ্যাপোলো হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে । অন্যান্য বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে । তবে বর্তমানে, রাজ্যে, করোনা টিকাকরণে আরও গতি আনতে ডক্টর রেড্ডিসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতাল। প্রথম দফায় প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার টিকা দেওয়া হবে । এই মুহূর্তে একটি রাশিয়ান টিকার দাম ১২৫০ টাকা ।

রেড্ডিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামিতে স্পুটনিক টিকার দাম অনেকটাই কমে আসবে । বর্তমানে এই টিকা আমদানি করার সময় ৫ শতাংশ GST জুড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই বেশী । ভারতে মোট ৬ টি ইউনিটে রুশ টিকার উত্‍পাদন করবে ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবরেটরি। দেশে  টিকার উত্‍পাদন শুরু হয়ে গেলে দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরও বলা হয়েছে, ৬ টি ইউনিটের মধ্যে ২ ইউনিট আগামী মাস থেকেই স্পুটনিক V সরবরাহ করতে পারবে ।

এদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট ডক্টর কে হরি প্রসাদ জানিয়েছিলেন, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, পুণে, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ, চেন্নাই সহ দেশের বড় শহরগুলিতে রাশিয়ান টিকা দেওয়া হবে । দেশে এই টিকার প্রথম ডোজ নেন ডক্টর রেড্ডিসের আধিকারিক দীপক সাপরা । দেশে উৎপাদন শুরু হয়ে গেলে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে কয়েক কোটি টিকার ডোজ তৈরি হয়ে যাবে বলে জানা গেছে ।