'যশের প্রভাবে রাজ্যের ক্ষতির হিসাবে বিশ্বাসযোগ্যতা নেই', দিলীপের নিশানায় মমতা !
'যশের প্রভাবে রাজ্যের ক্ষতির হিসাবে বিশ্বাসযোগ্যতা নেই', দিলীপের নিশানায় মমতা !

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় যশের (Yaas) প্রভাবে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি কত হয়েছে, দলের তরফে পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বুধবার যশ (Yaas)  থেমে যাবার পরেই নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে সাংবাদিকদের সামনে যশের প্রভাব কতখানি পড়েছে তার একটা প্রথামিক ধারনা দেন । সেই প্রসঙ্গে গেরুয়া দলের রাজ্য সভাপতি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে জানিয়ে দিলেন, যশের প্রভাবে যে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া হচ্ছে তাতে বিশ্বাসযোগ্যতা নেই !

ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yaas) শেষ পর্যন্ত ওড়িশার বুকে আঘাত হানে । কয়েকটি জেলা বাদ দিয়ে রাজ্যে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি এই ঘূর্ণিঝড় ! বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে একটা হিসাব দেওয়া যাবে, রাজ্যে যশের প্রভাবে ঠিক কতখানি ক্ষতি হয়েছে । এর পরেই মমতাকে নিশানা করলেন, রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ । তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ঝড় আসার আগেই মনে হয় ক্ষয়ক্ষতি ঠিক করে রাখা হয়েছিল!’

ঘূর্ণিঝড় যশ থেমে যাবার পর নবান্নে সাংবাদিকদের সামনে বসেন মুখ্যমন্ত্রী । সেই প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে দিলীপ ঘোষের দাবী, ‘কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক তথ্য দিক রাজ্য সরকার’ । কারন নবান্ন থেকে সরকারীভাবে যে প্রাথমিক হিসাব দেওয়া হয়েছে, সেটি তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হয়নি । এদিন তিনি বলেন,  ‘১৩৪ টি বাঁধ নাকি ভেঙে গিয়েছে বলা হচ্ছে। জানি না এই হিসাব কোথায় পেয়েছেন। আর আয়লার পরে বাঁধ কতটা পাকা হয়েছিল তা জানা নেই। তখন কাজ হলে তাহলে এত বাঁধ ভাঙল কী করে? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের।

ঘূর্ণি ঝড় যশ আসার আগেই কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার মিলেমিশে প্রস্তুতি নিয়েছে ! কেন্দ্র থেকে ওড়িশা এবং রাজ্যে প্রাথমিকভাবে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে ।  কেন্দ্রীয় সরকারের ভুমিকা নিয়ে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন তিনি বলেন, ‘এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হিসাবে এ সময়ে দেখা উচিত নয়। রাজ্য-কেন্দ্রীয় এজেন্সি একসঙ্গে কাজ করেছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে যশের জন্য ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া হবে । কিন্তু অন্যদিকে আম্ফানে ‘কাটমানি’ কেলেংকারির কথা মাথায় রেখে ময়দানে নামছেন দিলীপ বাবু । তিনি জানিয়েছেন্, “স্বস্তির বিষয় এবার আমফানের মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে উপকূলবর্তী এলাকায়, বিশেষ করে, পূর্ব মেদিনীপুর, কাকদ্বীপ, সুন্দরবন, নামখানা্য  প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । কেন্দ্রের পক্ষ থেকে, মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সব আপডেট খবর রাখছেন । দলের বিধায়ক, কর্মীরা ইতিমধ্যেই নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিয়ে গেছেন। শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধ, ত্রিপলের ব্যবস্থা করেছেন কর্মীরা। কতো কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দলের তরফে পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবো।”