দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় নিয়ম না মেনে চললে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ (whatsapp), ফেসবুক (face book), টুইটার (twitter) ইনস্টাগ্রামের(instagram) এর মত সোশ্যাল সাইটগুলি ! গোটা ভারত জুড়ে এই আশঙ্কার মাঝেই এবার দিল্লী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল হোয়াটসঅ্যাপ । কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এই জনপ্রিয় অ্যাপ !
সোশ্যাল মাধ্যমে মানুষের গোপনীয়তা এবং স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে, এই যুক্তি দেখিয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয় । ভারতীয় ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সেখানে জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ(whatsapp), ফেসবুক (face book), টুইটার (twitter) ইনস্টাগ্রামের(instagram) এর মত সোশ্যাল সাইটগুলি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে । এই জনপ্রিয় সাইট বন্ধ হবে কিনা, সেই প্রশ্নের মুখে এবার দিল্লী হাইকোর্টে গেল হোয়াটসঅ্যাপ ।
এদিন দিল্লী হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ‘ ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার নিয়ম অনুসারে জীবন রক্ষার মত ব্যাক্তিগত তথ্য গোপন রাখাও মৌলিক অধিকার হিসাবে বিবেচিত । কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম যদি মেনে চলতে হয়, তাহলে যে সমস্ত গ্রাহক এই অ্যাপ ব্যবহার করছে, তাদের প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখতে হবে। ফলে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বলে আর কিছু থাকবে না । ফলে জনসাধারণের গোপনীয়তার অধিকার বিঘ্নিত হবে।’
সংস্থার পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আরও জানানো হয়েছে, যে সমস্ত গ্রাহক তাদের অ্যাপ ব্যবহার করছেন, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য যাতে নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে সেটাই তাদের লক্ষ্য । এই বিষয়ে দরকার পড়লে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের রাস্তা খুঁজবে । উল্লেখ্য। হোয়াটসঅ্যাপ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে । কিন্তু ফেসবুক, টুঁইটার বা অন্যান্য সোশ্যাল সাইটগুলির তরফ থেকে এখনও কোন উত্তর আসেনি ।
কেন্দ্রীয় সরকার সোশ্যাল সাইটকে অপপ্রয়োগ মুক্ত রাখার জন্য এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল । সেখানে যে গাইড লাইন দেওয়া হয়েছিল, সেটি না মানলে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ । এই নিয়মের আওটায় চ্যাট শো, ওয়েব সিরিজ কিম্বা তথ্য চিত্রকেও যুক্ত করা হয়েছিল । সেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি অভিযোগ জানানোর বিভাগ রাখতে হবে । সেখানে আপত্তিজনক কন্টেন্ট, ফেক খবর প্রকাশ করলে সেই সূত্র, অর্থাত্ কে সেটি প্রথম পোস্ট করেছেন, তার পরিচয় প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত ভারতে এই সোশ্যাল সাইটগুলি বন্ধ হবে না চালু থাকবে, সেটি অনিশ্চয়তার মধ্যে দুলছে ।