দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই বেসামাল হয়ে পড়েছে ভারতের টিককরন । প্রথম দিকে অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেছিলেন ভ্যাক্সিন নিতে । কিন্তু এখন প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই শুরু হয়েছে টিকার জন্য হাহাকার। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেবার ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় শুরু হয়েছে অসন্তোষ । এই অবস্থায় গবেষণায় জানা গেল, সময়সীমা বাড়ালে শরীরে অ্যান্টিবডি প্রায় তিনশ শতাংশ বাড়বে ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান থাকাই ভালো। এদিকে ভারতে অনেকেই প্রথম করোনা ভ্যাক্সিন নেবার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না কেন্দ্রীয় ঘোষণায় । কেন্দ্র থেকে নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে । এই ঘোষণায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় গবেষণায় জানা গেছে, প্রথম ডোজের তিন মাস পর দ্বিতীয় ডোজ নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সেক্ষেত্রে শরীরে রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি ২০ থেকে ৩০০ শতাংশ বেড়ে যায়।
মার্কিন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটারি এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ডের উপর গবেষণা করেছে । যদিও এই গবেষণাপত্র এখনও ‘পিয়ার রিভিউ’-এর পর্যায়ে রয়েছে। করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে গবেষণারত দলের ভাইরাোলজিস্ট এবং ডিরেক্টর গ্রেগরি পোল্যান্ড বললেন, ‘আমি যদি পারতাম তবে আমি এই মুহূর্তে দ্বিতীয় টিকা নেওয়া বন্ধ করে দিতাম। আমরা যত বেশি সম্ভব লোককে একটি করে টিকা আগে দিই। পরে দ্বিতীয় টিকা পেয়ে যাব।’
২০২০ সাল থেকেই বিশ্বে টিকা দেওয়া চালু হয়েছে । এক বছরের মধ্যে টিকা আবিস্কার করে প্রয়োগ করায় কেউ ঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না, দুটি ডোজের ব্যবধান কত দিন হওয়া উচিৎ ! বিশেষ করে, এই বিষয়ে কোন দেশই বিশেষ মাথা ঘামায়নি । তবে সর্বপ্রথম ব্রিটেনই দুই ডোজের মধ্যকার সময়সীমা বাড়িয়ে ছিল । পরে অবশ্য সেই সময়সীমা ফের কমিয়ে দেওয়া হয় । কিন্তু এখনও এই সময়সীমা বাড়ানোর কার্যকারিতা প্রমাণিত হচ্ছে ।