দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গতবছরের আম্ফানের দগদগে ক্ষতের স্মৃতি এখনও টাটকা । এরই মাঝে অগ্রসরমান ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর ভ্রূকুটি । চলতি মাসের ২৬ তারিখ নাগাদ আছড়ে পড়তে পারে বাংলা এবং ওড়িশা উপকুলে । রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে সব ধরনের সতর্কটামূলক ব্যবস্থা নেবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে । এবার বঙ্গোপসাগরে স্থিত নিম্নচাপ থেকে ঝড়ের আদল নিয়ে ‘যশ’ ধেয়ে আসে তাহলে কি হবে ? এবার ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাল মৌসম ভবন।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে,
- যশের এই মুহূর্তের অবস্থান, চেন্নাই থেকে একটা কাল্পনিক সরলরেখা এবং গঙ্গাসাগর থেকে একটা কাল্পনিক সরলরেখা আঁকা গেলে সে দুটি ঠিক যেখানে মিট করবে, সেখানে দাঁড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে।
- জলের মধ্যে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণি তরঙ্গ তৈরি করছে। অর্থাৎ তার শক্তি ক্রমশঃ বাড়ছে।
- ফর্মেশন বা গঠন 22 তারিখ বিকেলে সম্পূর্ণ হবে। অর্থাৎ তখন ডপলার রাডারে তার প্রকৃত চরিত্র ও শক্তি বোঝা যাবে।
- নিজের গঠন সম্পূর্ণ করে 22 তারিখ বিকেলের পর থেকে যশ স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করবে। এই এগনোর কাজটা সাড়ে 3 বা 4 দিন ধরে হবে।
- অর্থাৎ যশ এর ল্যান্ডফল 25 তারিখ মধ্যরাত থেকে 26 তারিখ ভোররাতের মধ্যে হবে।
- এখন ফর্মেশন রেডি নয়। তাই অভিমুখ পরিষ্কার নয়। তবু, প্রাথমিক অনুমান যশ ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে সুন্দরবন অঞ্চলের কোনো একটি জায়গায় ল্যান্ডফল করবে।
- ল্যান্ডফলের সময় তার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় 135 থেকে 140 কিলোমিটার । ( সুপার সাইক্লোন আম্ফানের ল্যান্ডফল ছিল 121 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা)
- ঘূর্ণিঝড় যশ এর ব্যাপ্তি 1400 কিলোমিটার । অর্থাৎ ল্যান্ড ফল থেকে টেল এন্ড পর্যন্ত সে দীর্ঘক্ষণ তাণ্ডব চালানোর মতো আকার ও শক্তি নিয়ে আসছে।
- ঝড়খালি, কাকদ্বীপ, ক্যানিং। গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, সন্দেশখালি, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, বকখালি । ল্যান্ডফলের সর্বাধিক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। ( এখনও পর্যন্ত)
- উপরোক্ত জায়গাগুলিতে 24 তারিখ দুপুরের পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়ে যাবে। উপকূলে উঁচু ঢেউ উঠতে শুরু করবে। (তথ্য সুত্রঃ মৌসম ভবন)