দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ সোমবার সকালে মদন-শোভনসহ চার তৃণমূল নেতাকে নারদা কাণ্ডে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। গোটা দিন নিজাম প্যালেসে থাকার পর রাত একটা নাগাদ তাদের পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। আগামী বুধবার পর্যন্ত সেখানে থাকার কথা থাকলেও ভোর রাতে মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন । এই মুহূর্তে মদন এবং শোভন বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ।
রাজ্য সরকারের ডাকা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেই বঙ্গ রাজনীতিতে ধুন্দুমার ! নারদা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একসাথে তৃনমূলের চার জন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই । সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ অন্তর্বর্তী জামিনে এই চারজন নেতা মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে মুক্ত করা হয় । কিন্তু পরে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে তাদের জামিনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয় । ফলে তাদের গন্তব্য শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে ।
সোমবার রাত ১টা ২০ মিনিটে এই চার বিধায়ককে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় । নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় সারাদিন থাকার পর গভীর রাতে নীচে নামার পর দেখা যায় মদন মিত্র যথেষ্ট ক্লান্ত । এদিকে সম্প্রতি কামারহাটির এই বিধায়ক করোনা মুক্ত হয়েছেন । জেল হেপাজতে থাকার সময়ে ভোর রাতে আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি তৃনমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও অসুস্থ বোধ করেন। ভোররাত ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সুব্রত বাবু ছাড়া পেলেও মদন-শোভনকে এসএসকেএমে ভর্তি নেওয়া হয় ।
এসএসকেএম সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ এবং ১০৬ নম্বর কেবিনে আপাতত রাখা হয়েছে মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মদন মিত্র এখন অক্সিজেন সাপোর্টের মধ্যে আছেন । এদিকে গতকাল রাতেই শোভন বান্ধবী ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে বারবার বলেছিলেন, ‘আমাকে ঢুকতে দিন। ওনাকে অনেকগুলো ওষুধ খেতে হয়। নইলে মরে যাবে। কেউ জানে না ওনার প্রবল সিওপিডি আছে’। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় দু’জনের শারীরিক অবস্থাই স্থিতিশীল।