দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রবিবার গোটা রাজ্যে কড়া লকডাউন ঘোষণা কড়া হয়েছে । একদিন পরেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠল । নারদা কাণ্ডে সোমবার সকালেই বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, তৃণমূলের বিধায়ক এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে । একইভাবে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও । এই ঘটনায় করোনার মধ্যেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে তৃনমূলের মধ্যে।
সোমবার সকাল । রাজ্য জুড়ে চলছে কড়া লকডাউন । এরই মধ্যে তৃণমূল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়ি ঘিরে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনী । সেখান থেকে সকাল ৯ টা নাগাদ তাকে তুলে সটান নিজাম প্যালেসে সি বই আই এর দপ্তরে । প্রথমে সি বি আই এর পক্ষ থেকে জানানো হয় শুধুমাত্র নারদা কাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ফিরহাদ হাকিমকে আনা হয়েছে। কিন্তু একটু বেলা গড়তেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়ে দেয়, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজকেই তাঁর বিরুদ্ধে কোর্টে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে ।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল শুরু হয়ে গেছে রাজ্য রাজনীতির আঙ্গিনায় । কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরহাদকে বাড়ি থেকে বের করে বের হবার সময় তিনি বলেন, ”নারদ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিনা নোটিসে আমাকে গ্রেফতার করা হল। স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই আমায় গ্রেফতার করা হল। আদালতে দেখে নেব।” এদিকে শুধু ফিরহাদ হাকিম নন, নারদা কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে নেওয়া হয়েছে, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও । সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। আজ প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ফিরহাদের সাথে এই তিন জন তৃণমূল মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও চার্জশিট জমা দেওয়া হচ্ছে ।
এই ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নেপথ্য আছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে । উল্লেখ্য, সম্প্রতি নারদ মামলায় চার্জশিট গঠনের অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল । সিবিআই আধিকারিকরা এই বিষয়ে মুখ না খুললেও অনুমান করা হচ্ছে, সেই মামলার সূত্রেই এই অপারেশন করা হয়েছে । এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানান নি ।