দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশে করোনা সুনামিতে বেসামাল অবস্থা । কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না । এদিকে রাজ্যসরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসকমহলও সমালোচনা করে চলেছেন । কিন্তু এবার এক সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি স্পষ্ট বলেন, এভাবে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করা ঠিক হচ্ছে না । দেশের এই পরিস্থিতি আমেরিকাতে হলেও সামলাতে পারত না ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই সব কিছু যেন এলোমেলো হয়ে গেল । প্রতিদিন মানুষের মৃত্যুর খবর ! এখন প্রিয়জনদের মৃত্যুও তেমনভাবে ছাপ হয়ত ফেলছে না । এদিকে এই অবস্থার জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মোদী সরকার এই সমালোচনার ধাক্কায় টলমল অবস্থায় । কিন্তু সবটাই কি সরকারের দোষ ? বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি সাক্ষাৎকারের সময় জানালেন, ‘আমি জানি যে বহু লোক সরকারের সমালোচনা করছে। কিন্তু যে সংখ্যায় গোটা দেশে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, তাতে অন্য কোনও দেশের কথা ছেড়ে দিন আমেরিকাও সামলাতে পারত না। কারণ, সংখ্যাটা বিপুল—অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল। এটা অস্বীকারের উপায় নেই যে মানুষকে ভুগতে হয়েছে। তবে এও ঠিক সরকার অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য স্বর্গ মর্ত্য এক করে দিয়েছে। এতো বিপুল সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হলে যে কোনও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।’
বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠির সুনাম গোটা পৃথিবী জুড়ে । দ্বিতীয় বারের মত সংক্রমণ শুরু হতেই তিনি বারবার সতর্ক করেছিলেন । রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনার বিরুদ্ধে তাঁর এই বক্তব্য অনেকেই গুরুত্ব দেবেন । দেবী শেঠি আরও জানিয়েছেন, কোভিডের এই ঢেউও ভারত সামলে নেবে। শুধু টিকাকরণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হওয়া উচিত। কেন্দ্র রাজ্য যৌথ ভাবে একটি কমিটি গঠন করা উচিত। যে কমিটি ভ্যাকসিন কিনবে ও সরবরাহ করবে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ এলে কি হবে ? এর উত্তরে চিকিৎসক জানান, “ভারত কোভিড মোকাবিলা শুরু করেছিল পিপিই কিট ছাড়া। গোটা দেশে তখন মাত্র ২০ হাজার ভেন্টিলেটর ছিল, তাও অর্ধেক অকেজো। সেই অবস্থা থেকে ভারত এখন ভেন্টলেটর রফতানিও করছে। সুতরাং এই ঝড় ভারত সামলাতে সক্ষম। শুধু দরকার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুধু সরকারি ব্যবস্থাপনায় হবে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। কারণ, বেসরকারি হাসপাতালগুলি চব্বিশ ঘণ্টা অপারেট করে। তারা চাইলে রাত দুটোতেও অ্যাপয়ন্টমেন্ট দিয়ে ভ্যাকসিন দিতে পারে। একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালের ক্যাম্পাস থেকে দিনে ২৬ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়াও কঠিন কাজ নয়।”