দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ তৃনমূলের জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই সৌমেন মহাপাত্র জানিয়ে দিলেন, ‘শুভেন্দুর বিষয়ে মোটেই চিন্তিত নয় তৃণমূল। যে কেউ বিরোধী দলনেতা হতে পারেন’ । কিন্তু ঘটনা চক্রে দেখা যাচ্ছে শুধু মেদিনীপুর থেকেই ৭ জন বিধায়ককে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে । অথচ এর আগে এখান থেকে এত মন্ত্রীত্বের রেকর্ড কোনদিন ছিল না । তবে কি সৌমেন মহাপাত্র মুখে যা কিছু বলেন, আসলে এর পিছনে কি শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা খর্ব করার নেপথ্য কারন রয়েছে !
রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়ে তৃতীয় বারের মত বাংলার মসনদে তৃণমূল কংগ্রেস । ক্ষমতায় আসার পর, দলের সুপ্রিমো মন্ত্রীসভা ঢেলে সাজিয়েছেন । গতবারের অনেক মন্ত্রী যেমন এবার জিতলেও মন্ত্রীসভা থেকে বাদ গেছেন, তেমনি যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন মুখ । অন্যদিকে বিজেপি এই প্রথমবারের মত বাংলার বিরোধী দলের তকমা পেল । সেই সাথে বিরোধী দলনেতা হিসাবে সর্বজন স্বীকৃতভাবে শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচিত । শুভেন্দু এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত করেছেন । এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর অধিকারী গড় নামেই গত এক দশক ধরে পরিচিত ।
শুভেন্দুর গড় বলে পরিচিত অবিভক্ত মেদিনীপুরে ৩৫টি আসনে তৃণমূলকে গোহারা হারানোর সংকল্প নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বিজেপি কোনওরকমে মানরক্ষা করেছে। সিংহভাগ আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে তৃণমূল ৩৫টির মধ্যে ২৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির দখলে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের সাত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মাত্র দুটি আসন। আর ঝাড়গ্রামের একটি আসনও পায়নি বিজেপি। কিন্তু মন্ত্রীসভা গঠনের সময় দেখা গেল, সেখান থেকে ৭ জন মন্ত্রীসভায় ঠাই পেয়েছেন ।
তৃণমূল ৭ জনকে মন্ত্রী করে বামফ্রন্ট আমলের রেকর্ডও ভেঙে দিল। অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে বাম আমলে ছ-জন মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার তৃণমূল অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে মোট সাতজনকে মন্ত্রী করল। ঝাড়গ্রাম থেকে ১ জন বীরবাহা হাঁসদা, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে দুজন। সৌমেন মহাপাত্র ও অখিল গিরি। আর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে চারজনকে মন্ত্রী করেছেন তৃণমূল। তাঁরা হলেন- মানস ভুইঁয়া, হুমায়ুন কবীর, শিউলি সাহা ও শ্রীকান্ত মাহাতো। রাজনৈতিক নিন্দুকরা মনে করছেন, যেভাবে মেদিনীপুরে এত জনকে মন্ত্রী করা হল, তাতে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে মমতার হারের ভয় কাজ করেছে ।