দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গেরুয়া শিবিরের দুই জন জয়ী প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিতে চাইছে । এই অবস্থায় ফের ৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে । এই অবস্থায় শাসক দল তৃনমূলের আসন সংখ্যা একদিকে যেমন আরও বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের আসন কমবে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, কোচবিহার জেলার দিনহাটা ও নদিয়া জেলার শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার । এছাড়া ভোটের আগে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হয় নি । অন্যদিকে আবার খড়দহে তৃণমূল জিতলেও সেখানে মারা গিয়েছে বিজয়ী প্রার্থী । কোচবিহারের দিনাহাটা কেন্দ্রে বিজপি প্রার্থী নিশীথ মাত্র ৫৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন । এছাড়া শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জগন্নাথ ১৬ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জয়ী । এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলে তৃনমূলের দিকেই পাল্লা ভারি থাকবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা ।
রাজ্যের উপনির্বাচনের ইতিহাসে দেখা গেছে, পুনরায় নির্বাচন হলে ফল শাসক দলের দিকেই গেছে । ফলে খড়দহে তৃণমূল জয়ী হওয়ায় সেখানে নিশ্চিতভাবে তৃণমূল জয়ী হবে । বাকী মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃনমূলের প্রার্থী জয়ী হলে, সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা আরও ৫ টি বাড়ার সম্ভবনা থাকছে ।
বিজেপির দুই জয়ী প্রার্থী নিশীথ ও জগন্নাথ বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি । জানা যাচ্ছে, এবার মোট ৫ জন প্রার্থীকে বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে । যারা প্রত্যেকে সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক হতে চাননি । এদের মধ্যে, লোকসভার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, লোকসভার সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত তিন জনেই পরাজিত হওয়ায় তাদের পূর্ব পদে ফিরে যেতে পারবেন । তবে স্বপনবাবু তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই বিধানসভার প্রার্থী হয়েছিলেন ।সেই পদটি ছিল আবার মনোনীত পদ। তাই সেই আসনে উপনির্বাচনের কোনও প্রয়োজনও নেই।
কেন নিশীথ এবং জগন্নাথ বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন ? কারন, বিধায়ক অপেক্ষা সাংসদ পদে বেশি আর্থিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায়। সামগ্রিক ভাবে জেলা বা মহকুমার ওপর দলের লাগাম ধরে রাখা যায়। তাই নিশীথ ও জগন্নাথ জয়ী হলেও বিধায়ক পদ ধরে রাখতে রাজী হচ্ছেন না । এমনকি কানাঘুষো চলছে, তাদের দাবী মানা না হলে, তারা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন । এই অবস্থায়, এই দুই সাংসদকেই দলে ধরে রাখতে কার্যত তাঁদের দাবির কাছেই মাথা নত করতে হয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ।