দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একসময় টানা ৩৪ বছর ধরে একটা দল রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল, তারাই কিনা একেবারে শুন্য ! ২০২১ শের নির্বাচনে বামফ্রন্টের এই শোচনীয় পরাজয় নিন্দুকেরাও সহজে হজম করতে পারছে না । আর নিজেদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই । এর উপর দলের এইভাবে ভরাডুবির পরে যেভাবে বেশ কিছু নেতা দলের সমালোচনা শুরু করেছেন, তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ বাম দলের শীর্ষ নেতৃত্ব । ভোটের পরে যারা পার্টির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ।
একসময় বাংলার ক্ষমতা ছিল কংগ্রেস এবং বামদলের হাতে । অথচ ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে, যার ফলে এই দুই দলের একজন সদস্যও বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না । ভোটে খারাপ ফল হতেই পারে । কিন্তু এভাবে বাংলার জনগণ এভাবে মুখ ফিয়িয়ে নেবে, ভাবতে পারেনি কেউ । কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পর। একের পর এক বাম নেতা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন । এর মধ্যে সবার আগে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, উত্তর দমদমের সিপিএম প্রার্থী ও প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাটার্যের মন্তব্য ঘিরে। তার মন্তব্য ছিল, জোটের শর্ত উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিচুতলার মতামত না নিয়ে আলিমুদ্দিনের একতরফা সিদ্ধান্ত ভরাডুবির কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
এছাড়া, অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মত পুরানো এবং দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে । পার্টির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, প্রাক্তনমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও। এবারও রায়দিঘি থেকে পরাজিত হন তিনি। জোট নিয়ে কান্তির প্রশ্ন, বিহারে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি বা তামিলনাড়ুর ডিএমকের মতো দুর্নীতিগ্রস্থ দলের সঙ্গে জোট করতে পারলে এখানে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে কেন আপত্তি? আবার অশোক ভট্টাচার্যর অভিযোগ, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে সংখ্যালঘু ভোট তো এলই না উলটে চলে গেল হিন্দু ভোটও। ইতিমধ্যে তন্ময় ভট্টাচার্যকে পার্টির পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়েছে।সিপিএম পার্টির সংবিধান অনুযায়ী বিদ্রোহী এই তিন জনই যেহেতু জেলা কমিটির সদস্য তাই ব্যবস্থা নিতে গেলে আলিমুদ্দিনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জেলা কমিটি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে শুধুমাত্র শাস্তির সুপারিশ করতে পারবে।