ভাষ্যকার হিসাবে লক্ষীরতন আইপিএল ২০২১ থেকে আয়ের সবটাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর করোনা রিলিফ ফান্ডে
ভাষ্যকার হিসাবে লক্ষীরতন আইপিএল ২০২১ থেকে আয়ের সবটাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর করোনা রিলিফ ফান্ডে

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ বাংলার জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক লক্ষীরতন শুক্লা নিজের ৪০ তম জন্মদিন পার করলেন । ২১ শের নির্বাচনে নিজেকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন । কিন্তু এখনও যে মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি তার আস্থা, বিশ্বাস অটুট সেটি প্রমাণ করলেন । এবারের আইপিএলে ধারাভাষ্যকার হিসাবে নিজের সমস্ত পারিশ্রমিক দান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের করোনা রিলিফ ফান্ডে ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজের ৪০ তম জন্মদিন পালন করলেন । রাজনীতির আঙ্গিনায় প্রবেশ করেও খেলার জগত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন নি তিনি । বিধায়ক হবার পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী করেন । বর্ণময় এবং কোটিপতির খেলা আইপিএলে একটি সম্প্রচারকারী চ্যানেলের হয়ে বাংলা ধারাভাষ্যকারের কাজ করেছেন তিনি । সেখান থেকে উপার্জন করা অর্থ পুরোটাই করোনা মোকাবিলায় দান করে নিজের জন্মদিন পালন করলেন ।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিজেই একটি পোস্ট করেন । সেখানে তিনি লেখেন, ‘আজ ৬মে, ২০২১। আমি আমার জন্মদিনে আইপিএল ২০২১-এ ধারাভাষ্য থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে দান করলাম। আমার তরফ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত আমার প্রিয় মানুষদের লড়াইয়ের জন্য সামান্য এই সাহায্য।’ করোনা মোকাবিলায় নিজের জন্মদিনে সচিন প্লাজমা দান করার কথা ঘোষণা করেছিলেন । এরপর অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে ব্যাক্তিগতভাবে এক কোটি টাকা দান করেছেন । লক্ষ্মীরতন শুক্লাও নিজের জন্মদিনে করোনা মোকাবিলার যুদ্ধে নিজেকে সামিল করলেন।

লক্ষ্মীরতন শুক্লা ২০১৫ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন । এরপর ২০১৬ সালে তৃনমূলের প্রার্থী হয়ে হাওড়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন । তার ১৮ বছরের ক্রিকেট জীবনে  বাংলার হয়ে ১৩৭টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ, ১৪১টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলেছেন লক্ষ্মী। এছাড়া আইপিএল-সহ কেরিয়ারে ৮১টি টি-২০ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন লক্ষ্মী। তিনি জানান, ‘আমি আজ যা কিছু হয়েছি সাধারণ মানুষ এবং তাদের ভালোবাসায়। তাই জন্মদিনের পুণ্যলগ্নে আমার এই সামান্য দান যদি বিপর্যস্ত মানুষগুলোকে এতোটুকু সাহায্য করতে পারে, তবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করব।’ করোনা মোকাবিলায় তার এই অবদান দেখে অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন নেটিজনরা ।