দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ সবে রাজ্যের নির্বাচন পর্ব মিটল । এখন করোনার প্রবল সংক্রমণ নিয়ে জেরবার । এরই মধ্যে আবার গতবছরের ‘আম্ফান আতঙ্ক’ ফিরে আসার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে । জানা গেছে, চলতি মাসেই আম্ফানের মত সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা উপকুল সহ পশ্চিমবাংলায় । ঘূর্ণিঝড়ের সাংঘাতিক ধ্বংসের রূপ আম্ফান বা ফনির চাইতে কোন অংশে কম হবে না, এমনটাই সর্তকবার্তা দিল National Weather Service, USA.
২০২১ শের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘তাউটে’ নাম নিয়ে ওড়িশা উপকুলে আছড়ে পড়তে পারে মে মাসের ১৩ তারিখ নাগাদ । তাউটে নামকরণ মায়ানমারের । এই ঝড়ের অভিমুখ এখনও পর্যন্ত ওড়িশা উপকুলের দিকেই দেখাচ্ছে । গ্লোবাল পূর্বাভাস সিস্টেমের তরফ থেকে এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে । ঝড়ের পূর্বাভাসে তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ শের মে মাসে ওড়িশার উপকুলে যেভাবে ‘ফণী’ আছড়ে পড়েছিল, এটি তার থেকেও অনেক বেশী শক্তিশালী হবে । অনেকটা গতবছরের ‘আম্ফান’এর মত সুপার সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে ।
National Weather Service, USA. এর পূর্বাভাস, চলতি মাসের ১০ তারিখ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে ১৩ তারিখ নাগাদ । এর পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি বাড়িয়ে, সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা উপকুলের দিকে অভিমুখ থাকায় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এই ঝড়ের ঝাঁপটা থাকবে। ফলে বাংলাতেও ঝড়ের দাপট থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে । আর যদি অভিমুখ একটু ঘুরে যায়, তাহলে ফের আম্ফানের ছায়া দেখতে পাবে বাংলার মানুষ ।
এই সুপার সাইক্লোন সম্পর্কে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি । মৌসম ভবন থেকেও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে এই ঝড় সম্পর্কে কোন ডেটা আসেনি । এদিকে ভুবনেশ্বর আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক এবং SOA বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও জলবায়ু কেন্দ্রের পরিচালক শরত্চন্দ্র সাহুর মতে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ১০ বা ১১ মে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে বলা হলেও এখন সেখানে কিছু নেই। ফলে ১০ মে-র ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতায় পৌঁছবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায় । তবে বছরের এই সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশে করার আগে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। এই ঘূর্ণাবর্ত ও ঘূর্ণিঝড়গুলি বর্ষাকে উপকূলের দিকে ঠেলে দেয় । আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে একটি পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে।