'তৃণমূল নেতাদেরই অক্সিজেনের অভাব পড়েছে, তার দায় বিজেপি নেবে না'-বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
'তৃণমূল নেতাদেরই অক্সিজেনের অভাব পড়েছে, তার দায় বিজেপি নেবে না'-বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ করোনা নিয়েই এবার রাজনীতি শুরু হয়ে গেল । গোটা দেশে অক্সিজেনের যোগান নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার কারন হিসাবে মমতা প্রধানমন্ত্রীকেই সরাসরি দায়ী করেছেন । নির্বাচনী প্রচারের সময়েও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির অবন্তীর কারন দেখিয়েছেন সেই মোদীকেও । জানিয়েছিলেন, বাইরে থেকে লোক এনে মোদী নাকি রাজ্যে করোনা ছড়াচ্ছেন । এবার সেই করোনা নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।

গোটা দেশে যে অক্সিজেনের যোগানের অভাব তৈরি হয়েছে মমতা কয়েকদিন ধরে দাবী করেছেন, সেই দায় নরেন্দ্র মোদীকেই নিতে হবে । এবার সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আজ প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে তার উত্তর দিলেন । প্রথমে তিনি রাজ্যের ভ্যাক্সিন প্রসংগে আসেন । তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে বলছেন বিনা পয়সায় করোনার ভ্যাক্সিন দেবেন। টাকাও নাকি রেখেছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যেখান থেকে ভ্যাক্সিন কিনছে, এবার রাজ্য সরকার সেখান থেকে কিনতে পারবে । এবার দেখি উনি কীভাবে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দেন !

এরপরেই করোনার ঔষধ এবং অক্সিজেনের যোগান নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ বাবু । তিনি জানান, অক্সিজেন অভাবের অভিযোগ সত্য নয়। আমাদের কারোরই অক্সিজেন সরবরাহ কম নেই। তৃণমূলের নেতাদেরই শুধুমাত্র অক্সিজেন সাপ্লাই কম হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদেরই অক্সিজেনের অভাব পড়েছে, তার দায় বিজেপি নেবে না। উল্লেখ্য। দেশে লাগাতার বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। প্রসঙ্গত, এই জটিল পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারের যোগান। আবার বেশ কয়েকদিন ধরে ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারগুলিতে গিয়েও মিলছে না টিকা।

এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করে আসছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতিতেই করোনার এত বাড়বাড়ান্ত ! মোদি সরকার করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ। করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের ধারনা, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খারাপের পিছনে রাজনৈতিক দলগুলির অবদান কোন অংশে কম নয় । নির্বাচনী প্রচারে করোনাবিধি ভেঙ্গে এঁকে অপরকে টেক্কা দিয়েছেন । রাজ্যের মানুষ দিনের পর দিন কোন প্রকার সাবধানতা ছাড়াই ঘুরে বেড়িয়েছে । সেক্ষেত্রে তখন নির্বাচনী প্রচার ছিল না । রাজ্যসরকার কড়া ব্যবস্থা নিতেই পারত । কিন্তু বাস্তবে হয়নি । এখন এঁকে অপরকে দোষ দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন !