দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দেশের করোনা ক্রাইসিসেও রাজনৈতিক নেতাদের টনক যেন নড়ছে না ! নির্বাচন কমিশনের প্রচার নিয়ে কড়া নির্দেশ থাকলেও এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হল । জানা যাচ্ছে, দিলীপের বিভিন্ন জনসভায় কমিশনের বেঁধে দেওয়া ৫০০ লোক জমায়েতের গণ্ডি অতিক্রম করছে বারবার । কলকাতা হাইকোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে বিজেপির বারবার করা এই সভার প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল ।
বিতর্ক আর দিলীপ ঘোষ যেন সমার্থক ! সংকটজনক করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ফের বিতর্ক শুরু হল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে । অভিযোগ, তার পথসভাগুলিতে নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া গণ্ডি অতিক্রম করেছে । জানা গেছে, শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে দক্ষিন দিনাজপুরে মোট ৫টি পথসভা করেন দিলীপ বাবু । কিছু কিছু পথসভায় হাজারের উপরে মানুষ জমায়েত হয়েছে ! শাসক দল তৃণমূল এই ঘটনায় কমিশনে নালিশ করবেন জানান।
শুক্রবার সকালে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে হিলিতে হেলিকপ্টারে করে নামেন দিলীপ ঘোষ । সেখানে এক পথ সভায় বালুরঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী অশোক লাহিড়ী, সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পর ভাষণ দেন তিনি। ওই সভায় পাঁচশোর বেশি মানুষ গাদাগাদি করে ভিড় করে। অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। দূরত্ববিধিও ছিল না বলে অভিযোগ। হিলি থেকে ফের হেলিকপ্টারে উঠে দিলীপ পরপর কুমারগঞ্জ, তপন, হরিরামপুর ও কুশমণ্ডি গিয়ে সভা করেন। সেখানেও একই অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে ।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগের অদ্ভুত যুক্তি দেখানো হয়েছে । দিলীপ ঘোষের পথ সভাগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছে মেনে নিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, ”নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রোড-শো বাতিল করে দিলীপদা পথসভা করেন। স্বাভাবিক ভাবে বাংলায় দিলীপদার প্রতি মানুষের উত্সাহ আছে বলে প্রচুর ভিড় হয়।” এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ভিড় হলেও সেই ভিড় সামলানোর দায়িত্ব ছিল প্রশাসনের । অন্যদিকে বিজেপি নেতা বিনয় বর্মণের দাবি, ”পাঁচশোর কম লোক নিয়ে দিলীপবাবুর প্রতিটি সভা হয়েছে। শেষবেলার প্রচার দেখে ঘাবড়ে গিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।” তবে ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, করোনা পরিস্থিতি বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কোন প্রভাব ফেলতে পেরেছে কিনা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে ।