দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বিচার করে বাকি ভোট পর্ব এক দফায় করার প্রস্তাব ফের খারিজ হয়ে গেল । সপ্তম এবং অষ্টম দফা ভোট একদিনে সম্পন্ন করার জন্য সল্টলেকের বেদিভবনে কটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ । কিন্তু সেখানে এক দফায় ভোট করার সম্ভবনা বাতিল করা হল । এদিকে শীতলকুচির পর বাগদায় পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশন ।
নির্বাচন কমিশনের এই দিনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে ভোট পর্ব সমাধা করা হবে তাই নিয়ে আলোচনা শুরু হয় । এরপর ভোট চলাকালিন, কিম্বা ভোট পর্ব মিটে যাবার পরেও বারংবার হিংসাত্মক ঘটনা কেন ঘটছে সেই বিষয়ের বিশ্লেষণ করা হয় । রাজ্যে কেন এত ঘটনা ঘটছে সেই বিষয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
বিধানসভা নির্বাচন ২০২১, শেষ হতে আর বাকি রয়েছে দুই দফা । এই দুই দফা ভোট হবে কলকাতা কেন্দ্রিক । জানা গেছে, এই দুই দফা ভোটের সময় যাতে কোন অশান্তি না বাড়ে সেই বিষয়ে বাড়তি নজর দিতে চাইছে কমিশন । বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদি প্রয়োজন মনে হয়, তাহলে ঐ সব আসনগুলিতে ভোটের আগেই ‘প্রিভেন্টিভ আরেস্ট’ করা হতে পারে । এছাড়া উক্ত এলাকার সমাজবিরোধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে ।
তবে যেভাবে নিরবাচনের মধ্যেই রাজ্যে হুহু করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই সাথে নির্বাচনী প্রচারে কোন প্রকার করোনা বিধি মানা হচ্ছে না । এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ভৎর্সনা শুনতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে । প্রথমে সিপিএম এবং পরে জাতীয় কংগ্রেস নির্বাচনে প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় । এরপর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগামী দুই দফা ভোটে প্রচারের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রশ্ন এবং অভিযোগ উঠে আসছে । কলকাতা হাইকোর্ট থেকে কমিশনকে সরাসরি পরিচালনায় ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় । এমনকি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণণের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, করোনা মহামারির মধ্যে এই ভাবে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে নিজের দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। ফলে সমালোচনার মুখে নির্বাচন কমিশনকে পড়তে হচ্ছে বারংবার ।