'প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে আমি ডাকই পাইনি' আপেক্ষ মমতার
'প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে আমি ডাকই পাইনি' আপেক্ষ মমতার

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে করোনা ক্রাইসিস অব্যাহত । কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দেশের এই দুঃসময়েও ইগো সমস্যা লেগেই আছে ! দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী । কিন্তু সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি ! এমনটাই আপেক্ষ করে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছা করেই নরেন্দ্র মোদীর সাথে আলোচনায় যোগ দেননি । তবে সত্যিটা যাই হোক না কেন, আখেরে ভুগতে হবে সেই সাধারণ মানুষকেই ।

গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে । গতকাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে প্রধান মন্ত্রী এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন । আজ সকাল থেকেই বায়ু সেনার মালবাহী বিমানে অতি দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে যাচ্ছে দেশের নানা জায়গায় । আজ কীভাবে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ছিল । কিন্তু সেখানে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্রাত্য রাখা হয়েছে ! আর এই বিষয় নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দেশের কোভিড পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি নাম না করেই আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,  ‘আমাকে তো বৈঠকে ডাকেইনি। তাই আমিও যাইনি। ভোট চাওয়ার সময় বাংলার কথা মনে পড়ে আর কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় বাংলার কথা বাবুদের মনে হয় না। কতদিন ধরে বলছি, বাংলায় কোভিড ছড়াবেন না। একটাও কথা শুনেছে? খালি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে গাদাগুচ্ছের সভা করছে আর কোভিড ছড়াচ্ছে। বাংলার ভাগের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কেন দিচ্ছে? বাংলা কী দুয়োরানী? আর গুজরাত-উত্তরপ্রদেশ কী সুয়োরানী? কই সেখানে তো অক্সিজেনের কোনও অভাব মিলছে না। আমাদের রাজ্যের অক্সিজেন তুমি অন্য রাজ্যে কেন পাঠাবে? কেন দেশের চাহিদা না মিয়ে তুমি বিদেশে কোভিডের টিকা পাঠাবে। এটা পুরোপুরি মোদি মেড ডিজাস্টার। কেন্দ্র সরকারই দেশে এই কোভিড পরিস্থিতির জন্য দায়ী। কোনও পরিকল্পনাই নেই।’

এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছা করেই বৈঠকে যোগ দেননি । তিনি রাজ্যের মানুষের মংলের চেয়ে নিজের রাজনীতিকেই বেশী গুরুত্ব দেন । রাজ্যের মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করার জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি ! তবে এ কথা সত্যি, রাজ্যের সাথে কেন্দ্রের সামঞ্জস্যতা না থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটি হিতকর হবে না। ফলে এই দুঃসময়ে রাজনৈতিক ব্যবধান ঘুচিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একসাথে লড়াই না করলে আগামী দিন আরও কঠিন হবে ।