দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে করোনার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের বাড়াবাড়ি দেখে চুপ থাকতে পারল না হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি । শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দিলেন, করোনার কথা মাথায় রেখে প্রচার বন্ধ রাখা উচিত । এতদিন ধরে অনেক প্রচার হয়েছে । এবার মানুষের উপর বিচারের ভার দেওয়া উচিত !
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে । প্রতিদিন লাখে লাখে মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে । এদিকে রাজ্যের অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক । অথচ নির্বাচন কমিশন তিন দফায় ভোট করার কথা বলেছেন । একের পর এক রাজনৈতিক নেতা করোনায় আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে । এই অবস্থায় নির্বাচনী প্রচারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে । আজ সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রায় দিয়েছেন ।
নির্বাচনী প্রচার বন্ধের আর্জি জানিয়ে যে জনস্বার্থ মামলাগুলি হয়েছিল, সেই মামলা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যথেষ্ট র্যালি, জনসভা হয়েছে, এবার মানুষকে বিচার করতে দিন।’ আদালত আরও বলেছে, করোনা বিধি মেনে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করার জন্য সব পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে । তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরে নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেন না। তাই পুরোটাই এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।
এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়েও রাজনীতি অব্যাহত । মুখ্যমন্ত্রী মমতা স্বয়ং টিকা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে ! এমন অভিযোগ তুলেছে । এমনকি, বিজেপি বাইরের রাজ্য থেকে করোনা ভাইরাস আমদানি করে রাজ্যে ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছেন । তবে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত ভুগতে হচ্ছে সেই সাধারন মানুষকে । এদিকে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে তাতে ভোটের পরেই লকডাউনের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না ।
তবে আশার কথা সিপিএম এবং কংগ্রেস করোনার ভয়াবহতা মাথায় রেখে আগামী তিন দফা ভোটের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । অন্যদিকে মমতা কলকাতায় আর বড় জনসভা করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । এই অবস্থায় বাকি থাকল গেরুয়া দল । হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মত অনেকের।