দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ একজন সাচ্চা মুসলমান সব সময় নিজের ধর্ম মেনে নিয়ে কাজ করেন । কিন্তু মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘কোরান’এ বিবাহ নিয়ে কিছু বিধিনিষেধ উল্লেখ করা আছে । সেখানে স্পষ্টভাবে কিছু নারীদের কোনমতেই বিবাহ করা যাবে না বলে উল্লেখ আছে । কোরানে আল্লাহ নিজে বলেছেন, নিশ্চয় আপনার পূর্বে অনেক রাসুলকে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছি। (সুরা রা’দ ৩৮)। তবে, বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলামে কিছু বিধান রয়েছে। এগুলি না মানলে হারাম বলেই বিবেচিত হবে ।
কোরানে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন- মাতা, দুধ মা, বোন, দুধ বোন, কন্যা, খালা, ফুফু, ভ্রাতৃকন্যা, ভগণীকণ্যা, স্ত্রীদের মাতা, ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী, দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম । এছাড়া অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম । তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ, সে স্ত্রীদের কন্যা যাকে বা যাদেরকে তুমি লালন পালন করেছ তাদের সাথে সহবাস না করলে বিয়েতে কোন গোনাহ নেই। দেখে নেওয়া যাক কোরানে কোন বিবাহকে হারাম বলে চিহ্নিত করেছে ।
- নিজের মা বা মায়েদের বিয়ে করা হারাম। এ ক্ষেত্রে দাদি, নানি সবার এ বিধান প্রযোজ্য।
- নিজের ঔরসজাত কন্যাকে বিয়ে করা হারাম। এ ক্ষেত্রে পৌত্রী, প্রপৌত্রী, দৌহিত্রী, প্রদৌহিত্রী তাদেরও বিয়ে করা হারাম।
- সহোদরা ভগ্নিকে বিয়ে করা হারাম। এমনইভাবে বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী ভগ্নিকেও বিয়ে করা হারাম।
- পিতার সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী বোনকে (ফুফুকে) বিয়ে করা হারাম।
- আপন জননীর সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী বোনকে (খালা) বিবাহ করা হারাম।
- ভ্রাতুষ্পুত্রীর সঙ্গেও বিয়ে হারাম, আপন হোক, বৈমাত্রীয় হোক।
- বোনের কন্যাকে বিয়ে করা হারাম। চাই সে বোন সহোদরা, বৈমাত্রেয়ী ও বৈপিত্রেয়ী যে কোনো ধরনের বোনই হোক না কেন, তাদের কন্যাদের বিবাহ করা বৈধ নয়।
- স্ত্রীদের মাতাগণ (শাশুড়ি) স্বামীর জন্য হারাম। এতে স্ত্রীদের নানি, দাদি সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য।
- নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহের পর সহবাস করার শর্তে ওই স্ত্রীর অন্য স্বামীর ঔরসজাত কন্যাকে বিবাহ করা হারাম।
- পুত্রবধূকে বিয়ে করা হারাম।
- দুই বোনকে বিবাহের মাধ্যমে একত্র করা অবৈধ।
তবে, খালাতো, মামাতো, চাচাতো বা ফুফাতো বোনকে বিয়ে করা বৈধ। চাচা মারা গেলে কিংবা তালাক দিয়ে দিলে চাচীকে বিয়ে করার বৈধতা দিয়েছে ইসলাম। তবে, তাদেরকে বিয়ে করবেন কি করবেন না সেটা যার ইচ্ছা হবে তার উপরেই নির্ভর করবে ।