দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনা এবারের বিধানসভা নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা । একদিকে কিছু রাজনৈতিক নেতা এটাকে ‘ঠিক হয়েছে’ বলছেন, অন্যদিকে ‘এটা অনুচিত’ বলে দাবী করছেন অপর অংশ । তবে সবচেয়ে বড় ঘটনা, চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে বেড়ি পরানো নিয়েই সরগরম রাজনীতি মহল । এরই মধ্যে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবী করেছেন, পুরো নির্বাচন থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতাকে ব্যান করা হোক ।
শীতলকুচির ঘটনা রাজ্যরাজনীতির উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন । সেই উত্তাপ আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিলেন গেরুয়া দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বহরমপুরে চা-চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,
‘নির্বাচন কমিশনের কাছে লিঘিত আর্জি জানিয়েছিলাম যেন মমতা ব্যানার্জিকে নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে রাখা হয়। সেই মতো নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে মনে করেছেন যে মমতা ব্যানার্জি প্রচার করলেই উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। তাই মমতা ব্যানার্জির প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। তবে শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করলেই হবে না পুরো নির্বাচন থেকেই ব্যান করতে হবে মমতা ব্যানার্জিকে। কমিশনকেও ফের আবেদন করব যাতে পুরো নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয় মমতা ব্যানার্জিকে।’
এদিকে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে হাবড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রাহুল সিনহা ফেসেছেন । মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত থাকার নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন । হট লিস্টে নাম আছে, দিলীপ ঘোষ এবং সায়ন্তন বসুরও । এদিকে বিজেপি থাকে জোরালো দাবী উঠছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে ।
বিজেপির দাবী, মমতা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েই মানুষকে উস্কানি দিয়ে উত্তেজিত করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে । সেখানে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করছেন । এভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও নাকি করছেন তিনি। ২০২১ শের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের হার স্পষ্ট দেখতে পেয়েই নাকি তিনি এইসব নাটক শুরু করেছেন ! যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই যুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি । বরং তাদের দাবী, বিজেপি মুলত র্বরদের দল । দেশের গণতন্ত্রকে শেষ করার খেলায় নেমেছে তারা !
এদিকে রাহুল সিনহার প্রচার দুই দিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়াও দিলীপ ঘোষকে নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন । আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে কেন তিনি শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তার উত্তর চাওয়া হয়েছে । উল্লেখ্য, কোন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন ব্যান করতেই পারে । ভারতের নির্বাচনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, অতীতে বহুবার বিভিন্ন কারণে বিজেপির কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রচার থেকে ব্যান করেছিল নির্বাচন কমিশন।