মারাত্মক করোনা পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে ! ঘোষিত হতে পারে ১৪ দিনের লকডাউন
মারাত্মক করোনা পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে ! ঘোষিত হতে পারে ১৪ দিনের লকডাউন

দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ যত দিন এগুচ্ছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি । ভারতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে । কোনভাবেই লাগামছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না । এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার । যা ছিল সর্বকালীন রেকর্ড । এই অবস্থায় মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারন করছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে । একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১,৬৮,৯১২ জন । অন্যদিকে কোভিড ১৯র বলি ৯০২ । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই মুহূর্তে দেশের ১০ টি রাজ্যের অবস্থা বেশ খারাপ বলে ঘোষণা করেছে । নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ।

বর্তমান দেশের করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আকার ধারন করেছে,  মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং ছত্তিশগড়ে । এছাড়া দিল্লী, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশের মত রাজ্যগুলিতেও লাগাম ছাড়া সংক্রমণ দেখা দিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র সরকার নিরুপায় হয়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে ধারনা কড়া হচ্ছে । জানা গেছে, এই সময় মহারাষ্ট্রের করোনা সংক্রমণ মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে ।

গতকাল মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে এবং টাস্ক ফোর্সের কর্তারা বৈঠক করেন । সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী আট দিনের লকডাউনে রাজি হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে । তবে সুত্রের খবর, টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এই সময়সীমা ১৪ দিন করার আর্জি জানিয়েছেন । উল্লেখ্য, গতকালের বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের অধিকাংশ ছিলেন রাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক । গত একদিনে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত ৬৩,২৯৮ এবং মারা গেছে ৩৪৯ জন ।

এদিকে বাংলায় চলছে বিধানসভা নির্বাচন । গত কয়েকদিনে রাজ্যেও করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে অনেকটাই । এদিকে নির্বাচনী প্রচারে কোনভাবেই করোনাবিধি মানা হচ্ছে না । আগামীদিনে এটাই মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের । গতকালের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪হাজার ৩৯৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কলকাতায় । এরপরেই রয়েছে দুই পরগনা ।