দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গতবছরের মত এবছরও রাজ্যের করোনা চিত্রের অমানবিক দিক উঠে আসতে শুরু করেছে । করোনা আক্রান্ত হবার পর হাসপাতালে ভর্তি হলে পরিজনরা জানেন না, তাদের প্রিয়জনকে আর দেখতে পাবেন কি না ? এরপর দূর থেকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে তাঁর চিকিৎসা করানো । যদি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন, তাহলে খুব ভালো । কিন্তু যদি অন্যটা হয় ! সেক্ষেত্রে মৃত্যুর পর তাঁর ডেডবডি নিয়ে শুরু হবে দরদাম । শুধু ধাপা পর্যন্ত পৌছাতে লাগছে মোটামুটি হাজার দশেক । এরপর দাহ করতে আরও । যদি প্রিয়জনের অস্থিভস্ম আনতে হয়, তাহলে কত লাগবে ভগবানই জানেন !
সম্প্রতি করোনায় মৃত দেহ নিয়ে অমানবিক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেল স্বজনহারাদের কাছ থেকে । জানা যাচ্ছে হাসপাতালে মারা যাবার পর মৃতের পরিবারের সদস্যদের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায় । টাকা দিয়ে ধাপায় নিয়ে যাবার পর গণ চিতার পরিবর্তে আলাদা দাহ করার ব্যবস্থা হলে মোটা টাকার বান্ডিল লাগছে । নিজের বাবার দেহ সত্কারে গিয়ে এমন অর্থপিশাচদের হাতে পড়ার অভিজ্ঞতার কথা বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা মিলি মিত্র সোম লিখিতভাবে জানিয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ অফিসারকে।
এদিকে এই অর্থপিচাশদের কথা প্রকাশ্যে এলেও, ধাপায় এভাবে দৈনিক লাখ লাখ টাকার ব্যবসা করছে সে সব দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিযুক্ত পুরকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী শববাহী গাড়ির চালক ও খালাসিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। অথচ রীতিমত জুলুম করে প্রতিদিন এভাবে সবার চোখের সামনে গাদা গাদা টাকা তুলছে তারা । ধারনা করা হচ্ছে, উচ্চপর্যায়ের বিভাগীয় আধিকারিকদের সাথে যোগ সাজশ ছাড়া এভাবে দুর্নীতি করা সম্ভব নয় ।
বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা মিলি মিত্র সোম নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, তাঁর বাবা আশিস মিত্র (৮৪) মূত্রনালির সংক্রমণ নিয়ে গড়িয়া পঞ্চসায়রের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন। সাতদিন পরে ‘সুস্থ’ অবস্থায় বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, হাসপাতাল থেকে তাঁর বাবাকে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়ার পর ছাড়া হয়েছে। মেয়ের অভিযোগ, করোনা সন্দেহ করেই তাঁর বাবাকে এভাবে ছাড়া হয়েছিল । এরপর রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৭৫-এ নামলে ফের হাসপাতালে নেওয়া হয় । কিন্তু পূর্বের হাসপাতাল ‘বেড নেই’ বলে তাদের ফিরিয়ে দেয় । একান্ত বাধ্য হয়েই বেহালার ছোট নার্সিংহোমে ভর্তি করেন । কিন্তু পরদিন তিনি মানা যান । এরপরেই শুরু হয় বেদনাদায়ক কাহিনী ।
পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরে মিলি অভিযোগ করে জানান, তাঁর বাবার দেহ ধাপায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দশ হাজার টাকা নার্সিংহোমেই নেয় শববাহী গাড়ি। এরপর ধাপায় এন্ট্রি ফি বাবদ তিন হাজার টাকা নেয় দায়িত্বে থাকা পুরকর্মীরাই। এরপরেই তিনি জানান, ‘চোখের সামনে দেখছিলাম, দু-তিনটি দেহ একসঙ্গে চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমি আমার বাবার দেহ এককভাবে দাহ করতে চাইলাম। নাহলে তো বুঝতে পারব না, অস্থিভস্ম কার কোনটি। সঙ্গে সঙ্গে চার হাজার টাকা দাবি করল। অবশ্য এর সঙ্গে বাবার মুখাগ্নি করার জন্য আলাদা টাকা দাবি করেনি।’ কিন্তু বাস্তবে নিয়ম অনুযায়ী শববাহী গাড়ি ভাড়া ছাড়া আর কোন টাকা পরিজনদের বহন করার কথা নয় ।
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের তালিবানরা । তাদের কথা বার্তা…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিন বঙ্গে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ।…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ ফের চীনের বিরুদ্ধে একহাত নিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । কাঁথি…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে ত্রিপুরা সফরের শুরুতেই ধাক্কা খেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়…
দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ অবাক করার মত ঘটনা হলেও সত্যি ! পাকিস্তানে একটি ছাগলকে…