দ্য আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ গোটা দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা । এবার দাউ দাউ করে জ্বলা কৃষকদের অসন্তোষ আছড়ে পড়ল হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে । কৃষকরা এমন ভাবে সভাস্থান তছনছ করেছে, শেষ পর্যন্ত সেখানে পৌঁছে সভা করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী ।
কেন্দ্রীয় কৃষক আইনের সপক্ষে প্রচার করতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার সভা করার কথা ছিল কারনালের কাইমালা গ্রামে । সেখানে ‘কৃষক মহা পঞ্চায়েত’ সভা নাম দিয়ে বিজেপির হয়ে প্রচারে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও আরও রাজ্যের দুই মন্ত্রী কারনালের সাংসদ এবং বিজেপির বিধায়কদের থাকার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি করা হয়েছিল হেলিপ্যাড । কিন্তু কৃষকদের বিক্ষোভ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করা ত দূর অস্ত, সেখানে নামতেই পারলেন না ।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সপক্ষে প্রচার করার জন্য কারনালের কাইমালা গ্রামে ‘কৃষক মহা পঞ্চায়েত’ সভা নামে যে জমায়েতের আয়োজন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেখানে প্রশাসনের কাছে আগেই খবর ছিল অশান্তি ছড়ানোর । এমনকি গ্রামের কৃষকরা সভার পূর্বেই বিক্ষোভ দেখানোর হুমকি দিয়েছিল । মুখ্যমন্ত্রীর আসার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো গ্রাম পুলিশ দিয়ে ঘিরে দেবার পাশাপাশি ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ কৃষকদের বিপক্ষে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ।
সভার আগেই পুলিশের সামনে প্রথমে কালো পতাকা দেখায় কৃষকরা । পুলিশ প্রথমে বাঁধা দেয় । এর পর কৃষকরা বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ করতে করতে মঞ্চের দিকে ধাবমান হলে, পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং কাঁদানো গ্যাস ছোড়ে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় এত বেশি ছিল যে, পুলিশের বাঁধা সত্ত্বেও ব্যারিকেড ভেঙে সভাস্থলে দলে দলে ঢুকে পরে। চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে ভাঙচুর করা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বানানো অস্থায়ী হেলিপ্যাডটি থেকে পুলিশকে হটিয়ে দেয় ।
এপ্রসঙ্গে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নিজের হতাশা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেননি । মনোহর খাট্টা জানিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে কৃষকদের ভুল ধারনা ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি । এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সভা করার কথা চিন্তা করা হয় । এমনকি, একদল কৃষকরা তাকে কথা দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের কারনে সেটা বানচাল হয়েছে ।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার বিষয়ে কৃষি আইনের বিপক্ষে থাকা কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কৃষক বলে ওখানে বিজেপি সমর্থকদের নিয়ে আসা হচ্ছিল। তাদের দাবী, সভায় প্রকৃতপক্ষে কৃষক বলে কেউ থাকার কথা ছিল না, সেখানে বিজেপির সমর্থকদের কৃষক সেজে অভিনয় করতে বলা হয়েছিল ।