দি আজকের নিউজ ওয়েব ডেস্কঃ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই ভারতে চালু করা হয়েছে করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়া । ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেবার পর প্রথম দিকে ২৮ দিন পর দ্বিতীয় বার ভ্যাক্সিন নিতে বলা হয়েছিল । অবশ্য মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ৮ সপ্তাহ ব্যবধান থাকা উচিত । এবার প্রশ্ন হল, ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেবার পর দ্বিতীয় ডোজ কেন নিতে বলা হচ্ছে ? আর যদি না নেওয়া হয় তাহলে সমস্যা কোথায় ?
গত বছর থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা মহামারী । এরপর বাজারে আসে করোনা ভ্যাক্সিন । করোনা প্রতিরোধ করার জন্য ভারতসহ বিশ্বে ১৭৭ টি দেশ করোনা ভ্যাক্সিন দেবার কাজ করছে । এই ভ্যাক্সিনগুলির মধ্যে অন্যতম, মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (স্থানীয় নাম – কোভিশিল্ড) সহ বেশ কয়েকটি । এগুলির ক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট সময় পরে আবার একটা ডোজ নেবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ডোজ নিলেও করোনা আক্রান্ত যে হবে না, সেবিষয়ে কোন গ্যারান্টি নেই । সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নিলে ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় ।
উল্লেখ্য, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে একবার প্রয়োগ করা হয় । তবে বর্তমানে এই কোম্পানির ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনও দুই ডোজের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এক এক সংস্থার ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান ভিন্ন । তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ফাইজার ও মডার্নার টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর, দ্বিতীয় ডোজ অবশ্যই নিতে হবে । যদি কেউ প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ সময়মত না নেয়, সেক্ষেত্রে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাবে ।
গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে ফাইজার ভ্যাক্সিন ৫২ শতাংশ, মডার্না ভ্যাক্সিন প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ করে । সেক্ষত্রে প্রথম ডোজ নিলেও আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে । ফলে সেক্ষেত্রে, সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । তবে এ কথা সত্যি করোনা ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকারিতা পেতে হলে দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান কম হওয়া উচিত ।